ইমরান খানের গ্রেফতারির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
ইমরান খানের গ্রেফতারি নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে। আল কাদির ট্রাস্টের জমি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান। সেই মামলার শুনানিতেই সে দেশের প্রধান বিচারপতি উমর অটা বান্ডিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ইমরানকে এক ঘণ্টার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দিল। এই মামলায় বৃহস্পতিবারই ‘উপযুক্ত’ রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। সে দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘ডন’-এর তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আল কাদির ট্রাস্টের জমি সংক্রান্ত মামলায় মঙ্গলবারই ইসলামাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন বিভাগ বা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) দশ দিনের হেফাজত চেয়েছিল ইমরানের। আদালত সেই আর্জি পুরোপুরি মঞ্জুর করেনি। তবে ৮ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয় ইমরানকে। বুধবার আদালতে শুনানির সময় ইমরান বিচারককে জানিয়েছিলেন, হেফাজতে থাকাকালীন গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি, শৌচাগারেও নাকি যেতে দেওয়া হয়নি তাঁকে।
বৃহস্পতিবার পাক সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য নথিভুক্ত ছিল না। তাই ন্যাবের আইনজীবী শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। ইমরানের আইনজীবী হামিদ খান সে দেশের শীর্ষ আদালতে জানান, এই সংক্রান্ত মামলায় উচ্চ আদালতে আগাম জামিন চাইতে গিয়েই গ্রেফতার হন ইমরান। আদালত চত্বর থেকেই পাকিস্তানের ‘কাপ্তান’কে গ্রেফতার করে সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন পাক রেঞ্জার্স বাহিনী। এই ঘটনাকে আদালত অবমাননা হিসাবেই দেখছেন সে দেশের প্রধান বিচারপতি। তিনি ইমরানের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, গ্রেফতারির সময় পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর কত জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উত্তরে ইমরানের আইনজীবী জানান, ১০০ জন। এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, “আদালতে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ ঢুকে পড়ে এক জনকে গ্রেফতার করছেন। এতে কি আদালতের সম্মান বৃদ্ধি পাচ্ছে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy