থমথমে: দ্বিতীয় বিস্ফোরণের পরে সেন্ট পিটার্সবার্গের আর এক মেট্রো স্টেশনে। সোমবার। ছবি: এপি
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কর্মজীবন শুরু হয় সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে। পরবর্তীকালে এই শহরের মেয়রও হয়েছিলেন। সোমবার সেই শহরেই পর পর বিস্ফোরণ। তিনি নিজেও তখন প্রশাসনিক বৈঠকের কারণে শহরে ছিলেন। তবে বিস্ফোরণের অভিঘাত পেরিয়ে এখন অবশ্য একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাশিয়ায়। কী উদ্দেশ্যে এই হামলা?
মেট্রো স্টেশনে সোমবারের দু’টি বিস্ফোরণ উস্কে দিচ্ছে ২০০৭ -এর ২৯ মার্চের স্মৃতি। সে বার মস্কোর মেট্রো স্টেশনে একই ভাবে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত হন ৩৮ জন। ফের রাশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। কয়েক দশক ধরে এখানকার চেচনিয়ায় পৃথক ইসলামি রাজ্যের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছে চেচেন গোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই ১৯৯৯ সালে যাদের কড়া হাতে দমন করেন পুতিন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও চেচেন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোরই থেকেছেন।
কিন্তু কূটনীতিকদের দাবি, ইরাক এবং সিরিয়ায় চেচেনদের এখন কাজে লাগাচ্ছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি পুতিনের সমর্থন বহু দিন ধরেই আইএসের রোষের কারণ। তা ছাড়া, আইএসকে মুছে ফেলার লক্ষ্যে সিরিয়ায় ব্যাপক সামরিক অভিযানে নেমেছে পুতিন প্রশাসন। তাই রাশিয়াকে জবাব দিতেই কি এ বার চেচেনদের সাহায্যে হামলা ঘটাল আইএস? প্রশ্নটা ঘুরছে রুশ সরকারের অন্দরেও।
সোমবার বিস্ফোরণের পরে ঘটনাস্থলে নিহত হন সাত জন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রাণ হারান এক জন। বাকি দুই জন হাসপাতালে মারা যান। সেন্ট পিটার্সবার্গের ভোস্তানিয়া স্কোয়ার স্টেশন থেকেও বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সেটি দেখে পুলিশের ধারণা, ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিল জঙ্গিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy