নেগাম্বোর সেন্ট সেবাস্টিয়ান ক্যাথলিক চার্চ। ছবি: রয়টার্স।
রক্তাক্ত দ্বীপরাষ্ট্র। ইস্টার রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে শ্রীলঙ্কায়। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯০। গুরুতর জখম প্রায় পাঁচ শতাধিক। দেশ জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত দায় স্বীকার না করলেও এই বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে কলম্বো ও আশপাশের এলাকা থেকে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় একটি গোষ্ঠীরই হাত রয়েছে বলে মনে করছে শ্রীলঙ্কা পুলিশ। আর এরই মধ্যে সোমবার সকালে আরও একটি শক্তিশালী বোমা নিষ্ক্রিয় করল সেনা।
আহতদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, মরক্কো এবং বাংলাদেশের পর্যটকেরা রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে একটি সূত্রে।
আরও পড়ুন: ৮ বিস্ফোরণে শ্রীলঙ্কায় মৃত্যুমিছিল, ৩ ভারতীয় সহ নিহত দুই শতাধিক
রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে সব মিলিয়ে মোট তিন জন ভারতীয়ের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সোমবার সকালে কে জি হনুমানথারিয়াপ্পা ও এম রঙ্গাপ্পা নামে আরও দুই ভারতীয়ের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয় টুইটে।
আরও পড়ুন: ‘চার্চে হতে পারে আত্মঘাতী হামলা’, আগেই সতর্ক করেছিলেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান!
পি এস রাজ়িনা, লক্ষ্মী, নারায়ণ চন্দ্রশেখর এবং রমেশ নামে তিন ভারতীয়ের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছিল রবিবারেই। নিহত ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন সুষমা। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিলক মারাপানার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় থেকে শুরু হয়ে পরপর ছ’বার বিস্ফোরণ হয় শ্রীলঙ্কায়। কেঁপে ওঠে তিনটি গির্জা আর তিনটি পাঁচতারা হোটেল। তার ছ’ঘণ্টার মধ্যেই আরও দু’টো। সব মিলিয়ে মোট আটটা বিস্ফোরণে কার্যত তছনছ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে বাংলার পুলিশ, বললেন অমিত শাহ
সোমবার সকালে বিমানবন্দরের কাছে নিস্ক্রিয় করা হয় আরও একটি বোমা। এটি কলম্বো বিমানবন্দরের কাছেই ছিল বলে জানা গিয়েছে।
সেন্ট অ্যান্টনিস গির্জায় মৃতদেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ছবি: রয়টার্স।
কলম্বোর কোচিকাডের সেন্ট অ্যান্টনিস চার্চ, পশ্চিমের উপকূল শহর নেগোম্বোর সেন্ট সেবাস্টিয়ান চার্চ, এবং পূর্বের বাত্তিকালোয়া শহরের জ়িওন চার্চে পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুণশেখর জানিয়েছেন, তিনটি পাঁচতারা হোটেল— শাংগ্রি লা, দ্য সিনামন গ্র্যান্ড হোটেল (এটি আবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভনের কাছেই এবং এখানে আগেও বিস্ফোরণ ঘটেছে), এবং দ্য কিংসবেরি হোটেলে বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের পর রবিবার সন্ধে ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি হয় কার্ফু। সোমবার ভোর ৬টার পর কার্ফু তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy