Shamima Begum left the UK aged 15 to join ISIL dgtl
England
শিকড় বাংলাদেশে, নিকাব ছেড়ে জিনস, টি শার্ট, কালো চশমায় ধরা দিলেন প্রাক্তন জিহাদি
শোনা যাচ্ছে, শামিমা তাঁর অতীতকে ভুলে নতুন করে এগিয়ে যেতে চাইছেন। মুছে ফেলতে চাইছেন ‘জিহাদি’ পরিচয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২১ ১৪:০৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
লন্ডনের উপকণ্ঠে অভিবাসী পরিবারে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। বাবা মায়ের সূত্রে শিকড় ছিল বাংলাদেশে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে লন্ডন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সিরিয়ায়, আইএস জঙ্গি দলে যোগ দেবেন বলে।
০২১২
২০১৯ সালে আবার ফিরতে চেয়েছিলেন লন্ডনে। কিন্তু পারেননি। শামিমা বেগমের ঠাঁই এখন উত্তর পূর্ব সিরিয়ার এক ক্যাম্পে। বিশ্বের কাছে তাঁর পরিচয়, ‘জিহাদি’।
০৩১২
সিরিয়ায় পৌঁছবার কিছু দিনের মধ্যেই বিয়ে করে নিয়েছিলেন তিনি। পাত্র ছিলেন যুবক ইয়াগো রিয়েডজিক। ওলন্দাজ বংশোদ্ভূত এই যুবক ছিলেন ধর্মান্তরিত।
০৪১২
বিয়ের পরে ৩টি সন্তানের জন্ম দেন শামিমা। কিন্তু তিন জনেরই মৃত্যু হয় শৈশবে।
০৫১২
তৃতীয় সন্তানের জন্ম হয়েছিল একটি শরণার্থী শিবিরে। ফুসফুসের সংক্রমণে সেখানেই মারা যায় শিশুটি।
০৬১২
শামিমা এখন লন্ডনে ফিরে যেতে মরিয়া। পরিবর্তন এসেছে তাঁর আচার আচরণ এবং বেশবাসেও। অতীতে কট্টর শামিমার পরনে সবসময় থাকত কালো নিকাব। এখন সেই শামিমা ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন জিনস, টি শার্ট এবং কালো চশমায়।
০৭১২
শোনা যাচ্ছে, শামিমা তাঁর অতীতকে ভুলে নতুন করে এগিয়ে যেতে চাইছেন। মুছে ফেলতে চাইছেন ‘জিহাদি’ পরিচয়। ওই ক্যাম্পের আরও অনেক মহিলাই সাবেক পোশাক পরার অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছেন। শামিমা তাঁদের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।
০৮১২
দেশ ছাড়ার ৪ বছর পরে অন্তঃসত্ত্বা শামিমাকে পাওয়া গিয়েছিল এক বন্দি শিবিরে। সে সময় তিনি স্বামীকে হারিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রথম ২ সন্তানের। নবজাতক তৃতীয় সন্তানের মৃত্যুর পরেও তিনি বলেছিলেন, আইএস-এ যোগ দেওয়ার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন।
০৯১২
পরে অবশ্য মত পরিবর্তন করেন। বলেন, তিনি সে কথা বলেছিলেন ভয়ে এবং প্রতিশোধের আগুন থেকে বাঁচতে।
১০১২
শামিমার মতো ওই শিবিরের আরও অনেক মহিলাই আইএস-এর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। অভিমত, শিবিরের দায়িত্বে থাকা নোরা আবদোর। ক্যাম্প ম্যানেজার আবদো-র ধারণা, নিজেদের সন্তানদের কথা ভেবেই শিবিরের মহিলারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১১১২
শামিমা ইংল্যান্ডে ফিরতে পারবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর এখনও আটকে রয়েছে আইনি জটিলতায়। ব্রিটিশ সমাজ কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল এই প্রশ্নে। এক দলের দাবি ছিল, শামিমাকে ফিরতে দেওয়া হোক। অন্য দলের বক্তব্য, শামিমার মতো একজন জিহাদিকে ইংল্যান্ডের প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত নয়।
১২১২
যদিও শামিমার আইনজীবীর অভিযোগ, শামিমার প্রতি বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, যদি শামিমার মতো ৪ জন শ্বেতাঙ্গ কিশোরী দেশে ছেড়ে আইএস-এ যোগ দিত, তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও চেষ্টার কসুর করত না ব্রিটেন।