Advertisement
০৭ এপ্রিল ২০২৫
Govinda's Love Life

বিয়ের পর প্রেম একাধিক নায়িকার সঙ্গে! পরকীয়ার কারণেই কি ৩৭ বছরের সংসার ভাঙছে গোবিন্দের?

২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রঙ্গিলা রাজা’ ছবিতে শেষ বার অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে গোবিন্দকে। এই ছবিতে দ্বৈতচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু ‘রঙ্গিলা রাজা’ও বক্স অফিসে উপার্জন করতে পারেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩২
Share: Save:
০১ ৩০
নব্বইয়ের দশকের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে দেড়শোটির বেশি ছবি। একই দিনে একাধিক ছবির শুটিং করতেন তিনি। তবে নায়কের জীবন যে রঙিন ছিল তা নিয়ে আলোচনা চলত সর্বত্র। একাধিক নায়িকার সঙ্গে পরকীয়ার গুঞ্জন শোনা যায় চারদিকে। এমনকি, বর্তমানেও সেই একই কারণে নাকি ৩৭ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানতে চলেছেন বলিউডের ‘চিচি’ গোবিন্দ।

নব্বইয়ের দশকের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে দেড়শোটির বেশি ছবি। একই দিনে একাধিক ছবির শুটিং করতেন তিনি। তবে নায়কের জীবন যে রঙিন ছিল তা নিয়ে আলোচনা চলত সর্বত্র। একাধিক নায়িকার সঙ্গে পরকীয়ার গুঞ্জন শোনা যায় চারদিকে। এমনকি, বর্তমানেও সেই একই কারণে নাকি ৩৭ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানতে চলেছেন বলিউডের ‘চিচি’ গোবিন্দ।

০২ ৩০
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, স্ত্রী সুনীতা আহুজার সঙ্গে গোবিন্দের ৩৭ বছরের দাম্পত্য সরু সুতোয় বেঁধে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তা ছিঁড়ে যেতে পারে। বহু দিন ধরেই ছাদ আলাদা হয়ে গিয়েছে গোবিন্দ এবং সুনীতার। একই বাড়িতে থাকেন না তাঁরা।

বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, স্ত্রী সুনীতা আহুজার সঙ্গে গোবিন্দের ৩৭ বছরের দাম্পত্য সরু সুতোয় বেঁধে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তা ছিঁড়ে যেতে পারে। বহু দিন ধরেই ছাদ আলাদা হয়ে গিয়েছে গোবিন্দ এবং সুনীতার। একই বাড়িতে থাকেন না তাঁরা।

০৩ ৩০
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছেন, দুই সন্তানকে নিয়ে মুম্বইয়ের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। তাঁর উল্টো দিকে নিজের বাংলোয় একা থাকেন গোবিন্দ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছেন, দুই সন্তানকে নিয়ে মুম্বইয়ের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। তাঁর উল্টো দিকে নিজের বাংলোয় একা থাকেন গোবিন্দ।

০৪ ৩০
শোনা যাচ্ছে, আবার নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন গোবিন্দ। বয়সে তাঁর চেয়ে অনেক ছোট মরাঠি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই নাকি গোবিন্দ এবং সুনীতার বিয়ে ভাঙছে। সুনীতার সাক্ষাৎকারে বিবাহবিচ্ছেদের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

শোনা যাচ্ছে, আবার নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন গোবিন্দ। বয়সে তাঁর চেয়ে অনেক ছোট মরাঠি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই নাকি গোবিন্দ এবং সুনীতার বিয়ে ভাঙছে। সুনীতার সাক্ষাৎকারে বিবাহবিচ্ছেদের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

০৫ ৩০
১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে সুনীতাকে বিয়ে করেন গোবিন্দ। নায়কের দীর্ঘ দিনের বান্ধবী ছিলেন তিনি। কানাঘুষো শোনা যায়, নায়িকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় গোবিন্দের আড়ষ্ট ভাব পছন্দ হত না পরিচালকদের। তা কাটানোর জন্য গোবিন্দকে এক জন পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন বাস্তব জীবনে প্রেম করেন। বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটালে তিনি নাকি নায়িকাদের সঙ্গেও সহজ হতে পারবেন। সেই সময়ে গোবিন্দের জীবনে এসেছিলেন সুনীতা।

১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে সুনীতাকে বিয়ে করেন গোবিন্দ। নায়কের দীর্ঘ দিনের বান্ধবী ছিলেন তিনি। কানাঘুষো শোনা যায়, নায়িকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় গোবিন্দের আড়ষ্ট ভাব পছন্দ হত না পরিচালকদের। তা কাটানোর জন্য গোবিন্দকে এক জন পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন বাস্তব জীবনে প্রেম করেন। বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটালে তিনি নাকি নায়িকাদের সঙ্গেও সহজ হতে পারবেন। সেই সময়ে গোবিন্দের জীবনে এসেছিলেন সুনীতা।

০৬ ৩০
সুনীতার সঙ্গে গোড়ার দিকে নিছক বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল গোবিন্দের। নায়কের বাড়িতে আসা-যাওয়া লেগে থাকত সুনীতার। পুত্রের বান্ধবীকে দেখে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল গোবিন্দের মায়ের। পুত্রবধূ হিসাবে সুনীতাকেই চান, তা অভিনেতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল খোদ গোবিন্দের।

সুনীতার সঙ্গে গোড়ার দিকে নিছক বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল গোবিন্দের। নায়কের বাড়িতে আসা-যাওয়া লেগে থাকত সুনীতার। পুত্রের বান্ধবীকে দেখে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল গোবিন্দের মায়ের। পুত্রবধূ হিসাবে সুনীতাকেই চান, তা অভিনেতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল খোদ গোবিন্দের।

০৭ ৩০
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, কেরিয়ারের জন্য বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন গোবিন্দ। কিন্তু তার আসল কারণ ছিল ভিন্ন। গুঞ্জন শোনা যেতে থাকে, বলিপাড়ার এক নায়িকাকেও নাকি মন দিয়ে ফেলেছিলেন গোবিন্দ। তাই অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাননি তিনি।

বলিপাড়ার একাংশের দাবি, কেরিয়ারের জন্য বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন গোবিন্দ। কিন্তু তার আসল কারণ ছিল ভিন্ন। গুঞ্জন শোনা যেতে থাকে, বলিপাড়ার এক নায়িকাকেও নাকি মন দিয়ে ফেলেছিলেন গোবিন্দ। তাই অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাননি তিনি।

০৮ ৩০
১৯৮৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইলজ়াম’। এই ছবিতে গোবিন্দের নায়িকা ছিলেন নীলম। বক্স অফিসে হিট হওয়া ছবিতে গোবিন্দ এবং নীলমের জুটি দর্শকের মনে ধরে। বড় পর্দার পাশাপাশি ক্যামেরার পিছনেও তাঁদের সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে।

১৯৮৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইলজ়াম’। এই ছবিতে গোবিন্দের নায়িকা ছিলেন নীলম। বক্স অফিসে হিট হওয়া ছবিতে গোবিন্দ এবং নীলমের জুটি দর্শকের মনে ধরে। বড় পর্দার পাশাপাশি ক্যামেরার পিছনেও তাঁদের সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে।

০৯ ৩০
বলিপাড়ার এক প্রযোজকের দফতরে প্রথম বার নীলমকে দেখেছিলেন গোবিন্দ। পরে তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছোট্ট সাদা পোশাকে নীলমকে তাঁর পরীর মতো মনে হয়েছিল। প্রথম দেখাতেই নীলমের প্রেমে পড়ে যান তিনি। তখনও অবশ্য তিনি তারকা হননি।

বলিপাড়ার এক প্রযোজকের দফতরে প্রথম বার নীলমকে দেখেছিলেন গোবিন্দ। পরে তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছোট্ট সাদা পোশাকে নীলমকে তাঁর পরীর মতো মনে হয়েছিল। প্রথম দেখাতেই নীলমের প্রেমে পড়ে যান তিনি। তখনও অবশ্য তিনি তারকা হননি।

১০ ৩০
তিন বছরের ব্যবধানে মোট সাতটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে ফেলেছিলেন গোবিন্দ এবং নীলম। প্রতিটি ছবিই ভাল ব্যবসা করছিল। গোবিন্দের ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে, নীলম তাঁর কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিন বছরের ব্যবধানে মোট সাতটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে ফেলেছিলেন গোবিন্দ এবং নীলম। প্রতিটি ছবিই ভাল ব্যবসা করছিল। গোবিন্দের ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে, নীলম তাঁর কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

১১ ৩০
কাজের সূত্রে দীর্ঘ দিন আলাপ থাকার কারণে গোবিন্দ এবং নীলমের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব দেখা দেয়। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, দুই তারকা সম্পর্কেও রয়েছেন।

কাজের সূত্রে দীর্ঘ দিন আলাপ থাকার কারণে গোবিন্দ এবং নীলমের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব দেখা দেয়। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, দুই তারকা সম্পর্কেও রয়েছেন।

১২ ৩০
শোনা যায়, নীলমের সঙ্গে গোবিন্দের আলাপের প্রথম পর্ব খুব একটা মসৃণ ছিল না। বরং, প্রথম আলাপের পর গোবিন্দ কথা বলতেও ভয় পেতেন নীলমের সঙ্গে। কারণ, গোবিন্দ তখন ইংরেজি ভাষায় ভাল কথা বলতে পারতেন না। তাই তিনি নীলমের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতেন। ধীরে ধীরে তাঁদের মাঝে বরফ গলতে থাকে।

শোনা যায়, নীলমের সঙ্গে গোবিন্দের আলাপের প্রথম পর্ব খুব একটা মসৃণ ছিল না। বরং, প্রথম আলাপের পর গোবিন্দ কথা বলতেও ভয় পেতেন নীলমের সঙ্গে। কারণ, গোবিন্দ তখন ইংরেজি ভাষায় ভাল কথা বলতে পারতেন না। তাই তিনি নীলমের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতেন। ধীরে ধীরে তাঁদের মাঝে বরফ গলতে থাকে।

১৩ ৩০
বলিপাড়ার গুঞ্জন, নীলম বেশির ভাগ সময়েই সেটে চুপচাপ থাকতেন। অন্য দিকে, গোবিন্দ মজা করতেন তাঁর সঙ্গে। দু’জনের ব্যক্তিত্বে আকাশপাতাল পার্থক্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি প্রেমের পথে। নীলমকে তাঁর এতটাই পছন্দ ছিল যে, সুনীতাকেও বলতেন নীলমের মতো সাজতে বা ফ্যাশন-সচেতন হতে। ধনী পরিবারের মেয়ে নীলমের সঙ্গে তাঁর মানসিকতা ও সামাজিক অবস্থানের বহু পার্থক্য ছিল। কিন্তু সে সব তাঁদের সম্পর্কে ছায়া ফেলেনি।

বলিপাড়ার গুঞ্জন, নীলম বেশির ভাগ সময়েই সেটে চুপচাপ থাকতেন। অন্য দিকে, গোবিন্দ মজা করতেন তাঁর সঙ্গে। দু’জনের ব্যক্তিত্বে আকাশপাতাল পার্থক্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি প্রেমের পথে। নীলমকে তাঁর এতটাই পছন্দ ছিল যে, সুনীতাকেও বলতেন নীলমের মতো সাজতে বা ফ্যাশন-সচেতন হতে। ধনী পরিবারের মেয়ে নীলমের সঙ্গে তাঁর মানসিকতা ও সামাজিক অবস্থানের বহু পার্থক্য ছিল। কিন্তু সে সব তাঁদের সম্পর্কে ছায়া ফেলেনি।

১৪ ৩০
অন্য দিকে সুনীতার সান্নিধ্য গোবিন্দের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন এনেছিল। পর্দায় নায়িকাদের সঙ্গে সহজ হতে পেরেছিলেন তিনি। পরে এক সাক্ষাৎকারে তা স্বীকার করেছিলেন গোবিন্দ। কিন্তু তারকা হয়ে যাওয়ার পরে নায়কের জীবনের সমীকরণ পাল্টে যায়। এক দিকে নীলম, অন্য দিকে সুনীতা। সম্পর্কের দোটানায় পড়ে যান গোবিন্দ।

অন্য দিকে সুনীতার সান্নিধ্য গোবিন্দের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন এনেছিল। পর্দায় নায়িকাদের সঙ্গে সহজ হতে পেরেছিলেন তিনি। পরে এক সাক্ষাৎকারে তা স্বীকার করেছিলেন গোবিন্দ। কিন্তু তারকা হয়ে যাওয়ার পরে নায়কের জীবনের সমীকরণ পাল্টে যায়। এক দিকে নীলম, অন্য দিকে সুনীতা। সম্পর্কের দোটানায় পড়ে যান গোবিন্দ।

১৫ ৩০
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, নীলমকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন গোবিন্দ। এমনকি, নীলম নাকি তাঁর মায়ের সঙ্গে গোবিন্দের বাড়িতে বিয়ের কথা বলতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু মায়ের কথায় পিছিয়ে আসেন অভিনেতা।

বলিপাড়ার জনশ্রুতি, নীলমকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন গোবিন্দ। এমনকি, নীলম নাকি তাঁর মায়ের সঙ্গে গোবিন্দের বাড়িতে বিয়ের কথা বলতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু মায়ের কথায় পিছিয়ে আসেন অভিনেতা।

১৬ ৩০
বলিপাড়া সূত্রে খবর, নীলমকে বিয়ে করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শুনে গোবিন্দকে বারণ করেছিলেন তাঁর মা। গোবিন্দ যে সুনীতাকেই বিয়ে করবেন, সে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতার মা। কথার খেলাপ করতে চাইছিলেন না তিনি।

বলিপাড়া সূত্রে খবর, নীলমকে বিয়ে করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শুনে গোবিন্দকে বারণ করেছিলেন তাঁর মা। গোবিন্দ যে সুনীতাকেই বিয়ে করবেন, সে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতার মা। কথার খেলাপ করতে চাইছিলেন না তিনি।

১৭ ৩০
গোবিন্দের মা জানিয়েছিলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর যদি বিয়ে না হয়, তাতে অহুজা পরিবারের অসম্মান হবে এবং সুনীতার মনও ভেঙে যাবে। তাই নীলমের সঙ্গে বিয়ের চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোতে বারণ করেন গোবিন্দের মা।

গোবিন্দের মা জানিয়েছিলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর যদি বিয়ে না হয়, তাতে অহুজা পরিবারের অসম্মান হবে এবং সুনীতার মনও ভেঙে যাবে। তাই নীলমের সঙ্গে বিয়ের চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোতে বারণ করেন গোবিন্দের মা।

১৮ ৩০
১৯৮৭ সালে সুনীতাকে বিয়ে করেন গোবিন্দ। কিন্তু বিয়ের কথা গোপন করে রেখেছিলেন তিনি। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, কেরিয়ারের জন্যই বিয়ের কথা লুকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলিজগতের অধিকাংশের দাবি, বিয়ের কথা নীলমকে জানাতে চাননি গোবিন্দ। তাই নিজেকে অবিবাহিত বলেই পরিচয় দিতেন অভিনেতা।

১৯৮৭ সালে সুনীতাকে বিয়ে করেন গোবিন্দ। কিন্তু বিয়ের কথা গোপন করে রেখেছিলেন তিনি। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, কেরিয়ারের জন্যই বিয়ের কথা লুকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলিজগতের অধিকাংশের দাবি, বিয়ের কথা নীলমকে জানাতে চাননি গোবিন্দ। তাই নিজেকে অবিবাহিত বলেই পরিচয় দিতেন অভিনেতা।

১৯ ৩০
বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও নাকি নীলমের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন গোবিন্দ। তবে এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর গোবিন্দ এবং সুনীতার বিয়ের কথা জানতে পেরে যান নীলম। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, বিয়ের কথা জানার পর নীলম নিজেই গোবিন্দের কাছ থেকে দূরে সরে যান।

বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও নাকি নীলমের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন গোবিন্দ। তবে এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর গোবিন্দ এবং সুনীতার বিয়ের কথা জানতে পেরে যান নীলম। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, বিয়ের কথা জানার পর নীলম নিজেই গোবিন্দের কাছ থেকে দূরে সরে যান।

২০ ৩০
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বিয়ের কথা জানার পর গোবিন্দের সঙ্গে কাজ করলেও সম্পর্কে ইতি টানেন নীলম। ১৯৮৯ সালে শেষ বারের মতো গোবিন্দ এবং নীলমের জুটিকে বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যায়। ‘দো কয়েদি’ ছবিতে একসঙ্গে শেষ অভিনয় করেছিলেন গোবিন্দ এবং নীলম।

বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বিয়ের কথা জানার পর গোবিন্দের সঙ্গে কাজ করলেও সম্পর্কে ইতি টানেন নীলম। ১৯৮৯ সালে শেষ বারের মতো গোবিন্দ এবং নীলমের জুটিকে বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যায়। ‘দো কয়েদি’ ছবিতে একসঙ্গে শেষ অভিনয় করেছিলেন গোবিন্দ এবং নীলম।

২১ ৩০
কানাঘুষো শোনা যায়, এক বাঙালি অভিনেত্রীর সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন গোবিন্দ। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হ্যালো ব্রাদার’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। গোবিন্দের মতো তারকার সঙ্গে অভিনয় করতে চলেছেন বলে উত্তেজিত ছিলেন তিনি।

কানাঘুষো শোনা যায়, এক বাঙালি অভিনেত্রীর সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন গোবিন্দ। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হ্যালো ব্রাদার’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। গোবিন্দের মতো তারকার সঙ্গে অভিনয় করতে চলেছেন বলে উত্তেজিত ছিলেন তিনি।

২২ ৩০
২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হদ কর দি আপনে’ ছবিতে গোবিন্দের বিপরীতে অভিনয়ের প্রথম সুযোগ পান রানি। শুটিংয়ের জন্য বিদেশেও পাড়ি দিতে হয়েছিল তাঁদের। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময় থেকেই নায়িকার সঙ্গে বন্ধুত্ব জমে ওঠে গোবিন্দের।

২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হদ কর দি আপনে’ ছবিতে গোবিন্দের বিপরীতে অভিনয়ের প্রথম সুযোগ পান রানি। শুটিংয়ের জন্য বিদেশেও পাড়ি দিতে হয়েছিল তাঁদের। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময় থেকেই নায়িকার সঙ্গে বন্ধুত্ব জমে ওঠে গোবিন্দের।

২৩ ৩০
শুটিংয়ের পরেও রানির সঙ্গে নাকি একান্তে সময় কাটাতেন গোবিন্দ। মুম্বই ফিরে গিয়েও তাঁদের বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে, মাঝেমধ্যেই নাকি রানির সঙ্গে দেখা করতে যেতেন গোবিন্দ। নায়িকাকে দামি উপহারও দিতেন তিনি।

শুটিংয়ের পরেও রানির সঙ্গে নাকি একান্তে সময় কাটাতেন গোবিন্দ। মুম্বই ফিরে গিয়েও তাঁদের বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে, মাঝেমধ্যেই নাকি রানির সঙ্গে দেখা করতে যেতেন গোবিন্দ। নায়িকাকে দামি উপহারও দিতেন তিনি।

২৪ ৩০
তবে গোবিন্দ এবং রানি সম্পর্কের গোপনীয়তা বেশি দিন রক্ষা করতে পারেননি। শোনা যায়, এক সাংবাদিক নাকি হোটেলের একটি ঘর থেকে গোবিন্দকে রাতপোশাক পরে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলেন। সেই ঘরে নাকি রানি ছিলেন। এই কথা ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।

তবে গোবিন্দ এবং রানি সম্পর্কের গোপনীয়তা বেশি দিন রক্ষা করতে পারেননি। শোনা যায়, এক সাংবাদিক নাকি হোটেলের একটি ঘর থেকে গোবিন্দকে রাতপোশাক পরে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলেন। সেই ঘরে নাকি রানি ছিলেন। এই কথা ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।

২৫ ৩০
রানির সঙ্গে গোবিন্দ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন বলে নায়িকাকে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’র তকমাও দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে রানি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘অনেকেই অনুমান করে ফেলেন যে, গোবিন্দের সঙ্গে কোনও নায়িকা তিন-চারটি ছবিতে অভিনয় করছেন মানেই নায়কের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। আমি তো প্রথম নই। এর আগেও গোবিন্দের সঙ্গে অনেক নায়িকার নাম জড়িয়েছে। তবে আমি এতটুকুই বলতে পারি যে, গোবিন্দের মতো ভাল বন্ধু সহজে পাওয়া যায় না।’’

রানির সঙ্গে গোবিন্দ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন বলে নায়িকাকে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’র তকমাও দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে রানি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘অনেকেই অনুমান করে ফেলেন যে, গোবিন্দের সঙ্গে কোনও নায়িকা তিন-চারটি ছবিতে অভিনয় করছেন মানেই নায়কের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। আমি তো প্রথম নই। এর আগেও গোবিন্দের সঙ্গে অনেক নায়িকার নাম জড়িয়েছে। তবে আমি এতটুকুই বলতে পারি যে, গোবিন্দের মতো ভাল বন্ধু সহজে পাওয়া যায় না।’’

২৬ ৩০
কানাঘুষো শোনা যায়, রানি নাকি গোবিন্দকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। অন্য দিকে স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মন ভেঙে যায় সুনীতার। সব ছেড়ে তিনি বাপের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু গোবিন্দ তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিও নাকি বুঝতে পারেন যে, গোবিন্দ তাঁর সংসার ভেঙে রানির সঙ্গে ঘর বাঁধবেন না। তাই দুই তারকা তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুনীতার সঙ্গেও গোবিন্দের সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায়।

কানাঘুষো শোনা যায়, রানি নাকি গোবিন্দকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। অন্য দিকে স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মন ভেঙে যায় সুনীতার। সব ছেড়ে তিনি বাপের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু গোবিন্দ তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিও নাকি বুঝতে পারেন যে, গোবিন্দ তাঁর সংসার ভেঙে রানির সঙ্গে ঘর বাঁধবেন না। তাই দুই তারকা তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুনীতার সঙ্গেও গোবিন্দের সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায়।

২৭ ৩০
কেরিয়ারের শুরুতেই একের পর এক হিট ছবি ঝুলিতে পুরেছেন গোবিন্দ। কিন্তু কোনও ছবিই একক ভাবে হিট বা ‘সোলো হিট’ হয়নি। প্রতিটি ছবিতেই গোবিন্দকে অন্য অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। অ্যাকশন ঘরানার ছবিতে অভিনয় করে অ্যাকশন হিরো হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন গোবিন্দ। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসাবেও প্রশংসা কুড়োন তিনি।

কেরিয়ারের শুরুতেই একের পর এক হিট ছবি ঝুলিতে পুরেছেন গোবিন্দ। কিন্তু কোনও ছবিই একক ভাবে হিট বা ‘সোলো হিট’ হয়নি। প্রতিটি ছবিতেই গোবিন্দকে অন্য অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। অ্যাকশন ঘরানার ছবিতে অভিনয় করে অ্যাকশন হিরো হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন গোবিন্দ। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসাবেও প্রশংসা কুড়োন তিনি।

২৮ ৩০
এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানিয়েছিলেন, আশির দশকে তাঁর কেরিয়ারে এমন সময় এসেছিল যখন একসঙ্গে ৭০টি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন তিনি। তবে ৭০টি ছবিতে তিনি অভিনয় করতে রাজি হলেও বাস্তবে সব ছবির শুটিং হয়নি। কোনও কোনও ছবির কাজই শুরু হয়নি বলে দাবি করেন অভিনেতা।

এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানিয়েছিলেন, আশির দশকে তাঁর কেরিয়ারে এমন সময় এসেছিল যখন একসঙ্গে ৭০টি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন তিনি। তবে ৭০টি ছবিতে তিনি অভিনয় করতে রাজি হলেও বাস্তবে সব ছবির শুটিং হয়নি। কোনও কোনও ছবির কাজই শুরু হয়নি বলে দাবি করেন অভিনেতা।

২৯ ৩০
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে গোবিন্দের কেরিয়ারের রেখচিত্র নিম্নমুখী হতে শুরু করে। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দুলহে রাজা’ ছবিটি গোবিন্দের কেরিয়ারের শেষ ‘সোলো হিট’ হিসাবে ধরা হয়। পরে অবশ্য হিট ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় গোবিন্দকে। কিন্তু সে ছবিগুলি ছিল তারকাসমন্বিত। কিন্তু কোনও ছবিতেই একক নায়ক হিসাবে অভিনয় করেননি গোবিন্দ।

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে গোবিন্দের কেরিয়ারের রেখচিত্র নিম্নমুখী হতে শুরু করে। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দুলহে রাজা’ ছবিটি গোবিন্দের কেরিয়ারের শেষ ‘সোলো হিট’ হিসাবে ধরা হয়। পরে অবশ্য হিট ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় গোবিন্দকে। কিন্তু সে ছবিগুলি ছিল তারকাসমন্বিত। কিন্তু কোনও ছবিতেই একক নায়ক হিসাবে অভিনয় করেননি গোবিন্দ।

৩০ ৩০
কয়েক বছর বলিপাড়া থেকে সাময়িক বিরতি নেন গোবিন্দ। ২০১০ সালের পর আবার হিন্দি ছবিতে অভিনয় শুরু করেন তিনি। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রঙ্গিলা রাজা’ ছবিতে শেষ বার অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে গোবিন্দকে। এই ছবিতে দ্বৈতচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু ‘রঙ্গিলা রাজা’ও বক্স অফিসে উপার্জন করতে পারেনি। বর্তমানে নাচের বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যায় গোবিন্দকে। বড় পর্দায় বহু দিন অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

কয়েক বছর বলিপাড়া থেকে সাময়িক বিরতি নেন গোবিন্দ। ২০১০ সালের পর আবার হিন্দি ছবিতে অভিনয় শুরু করেন তিনি। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রঙ্গিলা রাজা’ ছবিতে শেষ বার অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে গোবিন্দকে। এই ছবিতে দ্বৈতচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু ‘রঙ্গিলা রাজা’ও বক্স অফিসে উপার্জন করতে পারেনি। বর্তমানে নাচের বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যায় গোবিন্দকে। বড় পর্দায় বহু দিন অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy