ছবি: রয়টার্স।
বাচ্চাটার গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে। কিন্তু ডাক্তাররা ঘণ্টা দেড়েক পর্যবেক্ষণে রাখার পরে বললেন, ‘‘একটু ঠান্ডা লেগেছে। ফিরে যাও।’’ তিনটে মামুলি ওষুধ লেখা হল। বছর আটেকের ছেলেটা বাবার সঙ্গে ফিরল ক্যাম্পে। তার পর সন্ধে ৭টা নাগাদ শুরু হল বমি। রাত ১০টায় ফের আনা হল হাসপাতালে। ১১টা ৪৮-এ সব শেষ। বড়দিন ফুরোনোর আগেই মারা গেল মার্কিন হেফাজতে থাকা শরণার্থী শিশু। নাম, ফিলিপ গোমেজ় আলোঞ্জো।
ফিলিপের মতোই গুয়াতেমালা থেকে বাবার সঙ্গে সিঁটিয়ে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকতে চেয়েছিল বছর সাতেকের মেয়ে জ্যাকলিন কাল। কিন্তু আটকে দেয় আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী। চলতি মাসের ৮ তারিখ হাসপাতালে মারা যায় জ্যাকলিন। হাসপাতাল জানিয়েছিল, জলশূন্য হয়ে লিভার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল জ্যাকলিনের। অন্তত এক সপ্তাহ মেয়েটির পেটে দানাপানি পড়েনি। যদিও জ্যাকলিনের বাবার দাবি, তাঁদের সঙ্গে জল আর খাবার ছিল।
তা হলে কি যত অনিষ্ট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হেফাজতেই? প্রশ্নটা ফের উঠেই গেল। কংগ্রেস সদস্য হোয়াকিন কাস্ত্রো যেমন বলেলেন, ‘‘শরণার্থী কিংবা অভিবাসীদের প্রতি আমাদের মানবিক হতেই হবে। খাবার এবং চিকিৎসার বন্দোবস্ত রাখতেই হবে।’’ ফিলিপের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চাইছে মেক্সিকোও।
ট্রাম্প কিন্তু অনড়ই। বড়দিনের সকালেও ট্রাম্প বলেন, ‘‘কারা আমাদের দেশে ঢুকতে চাইছে, কিছুই তো জানি না। এদের আটকাতেই হবে।’’ মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তুলতে বরাদ্দ বাড়ানোর ইঙ্গিতও দেন তিনি। অথচ, মার্কিন হেফাজতে থাকা শিশুমৃত্যুর ঘটনায় টুঁ শব্দও করেননি। আজ অবশ্য আমেরিকার শুল্ক ও সীমান্তরক্ষা দফতর জানিয়েছে, হেফাজতে থাকা প্রত্যেক শিশুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy