উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। ছবি: রয়টার্স।
বেড়েই চলেছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। পাশাপাশি এখনও অনেক বাসিন্দার খোঁজ মেলেনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের। যাদের অধিকাংশই স্কুলপড়ুয়া।
সোমবার দুপুরে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার মাটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৬। ঠিক ওই সময়ে একাধিক স্কুল খোলা ছিল। কচিকাঁচাদের পড়াশোনার সময় কেঁপে ওঠে এলাকা। তাতে বেশ কয়েক জন পড়ুয়ার প্রাণহানি হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। পাশাপাশি, কয়েকটি গ্রামে বড়িঘর ভেঙে পড়ে হুড়মুড় করে। ধস নামে এলাকায়। মঙ্গলবার প্রশাসনের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ১৫১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের খোঁজখবর করছে প্রশাসনের বিভিন্ন দল।
সোমবার পর্যন্ত যে খবর মিলেছিল, তাতে ইন্দোনেশিয়ার ১৬২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। আহত এবং ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ১,০০০। অন্য দিকে, রাস্তাঘাট ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ফলে দুর্গতদের উদ্ধার করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় প্রশাসন। এই কারণেই অনেককে খুঁজে পাওয়াও সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ বারের কম্পনের উৎস রাজধানী জাকার্তা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম জাভার সিয়ানজুরে। সেখানেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হতাহতের সংখ্যাও তুলনামুলক ভাবে বেশি। প্রশাসনের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরে বিস্তৃত আগ্নেয়গিরির বলয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া। ভূমিকম্পের দিক থেকে সবচেয়ে সক্রিয় বিশ্বের ওই অংশ। ২০০৪ সালে ৯.১ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে। কম্পন এবং সুনামিতে সব মিলিয়ে ১৪টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy