পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পড়ে অর্ধসমাপ্ত স্টল। নিজস্ব চিত্র।
বছর পেরিয়েছে। তবু পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ডের বাইরের দোকানঘরগুলির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ঘটনায় অসন্তোষ দানা বেঁধেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। প্রকাশ্যেই পুরসভার ভূমিকা নিয়ে সরব হচ্ছেন তাঁরা।
২০২৩-এ দুর্গাপুজোর পরে শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় পুরসভা। বাসস্ট্যান্ডের উত্তর দিকের গেটের বাইরে রাস্তায় থাকা অটোস্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়া হয় রাঁচী রোডে জিইএল চার্চ ময়দান সংলগ্ন এলাকায়। পাশাপাশি, ফুটপাত দখল করে থাকা একাধিক দোকানঘর ও উল্টো দিকে বাসস্ট্যান্ডের দিকের দোকানঘরগুলিও উচ্ছেদ করা হয়। পুরসভার দাবি ছিল, কোনও কোনও দোকানের ভিতরের দিকে অনেকটা জায়গা অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে। তা কাজে লাগানো হবে।
ওই দোকানদারদের একাংশ জানান, ফুটপাতের পাশ থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করার সময়ে পুরসভা কংক্রিটের দোকানঘর তৈরি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কবে দোকানঘর মিলবে, প্রথমে কিছু জানানো হয়নি। পরবর্তী কালে বলা হয়, ২০২৪-এ পুজোর আগে কাজ শেষ করে দোকান দেওয়া হবে। কয়েক জনের কথায়, “তবে ওই সময়ে অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি। তখন বলা হয়, পুজোর পরেই দোকানঘর মিলবে। কিন্তু তা-ও হয়নি। শেষে, এ বছরে মকর সংক্রান্তির মধ্যে দোকানঘর পাওয়া যাবে বলা হয়েছিল। সে কথাও রাখা হয়নি।”
এক দোকানদার বলেন, “খাবারের দোকান ছিল। এখন ঠেলাগাড়িতে দোকান চালাই। রাস্তার ধুলো ওড়ে। বিক্রিবাট্টাও অনেক কম হচ্ছে। আর কত দিন যে অপেক্ষা করতে হবে!” অন্য এক ব্যবসায়ীও জানান, ছাতা নিয়ে রাস্তার ধারে কোনও মতে দোকান চালাচ্ছেন। শীতকাল পেরিয়ে গ্রীষ্ম আসছে। ঝড়-বৃষ্টিতে খোলা জায়গায় দোকান চালাতে সমস্যা হবে।
তাঁরা বলেন, “আমরা সবাই মিলে পুরসভায় গিয়েছিলাম। তবে দোকানঘর কবে মিলবে, তার কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। ঠিকাদার সংস্থার জন্যই নাকি কাজ আটকে রয়েছে।” সমস্যা যা-ই হোক,
সমাধান তো পুরসভাকেই করতে হবে, জানান তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিজেপির পুর-প্রতিনিধি তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনেকটা সময় পার হলেও কেন দোকানঘরগুলির নির্মাণকাজ শেষ হল না, তার জবাব তো পুরপ্রধানকে দিতে হবে। দোকানদারেরা তো ঠিক প্রশ্নই তুলছেন। পুরসভার পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি তুলব।”
পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালির দাবি, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি বলেই সমস্যা। সংস্থাকে আগামী মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে ওই কাজের দায়িত্ব অন্য সংস্থাকে দেওয়া হবে। দ্রুত কাজ শেষ করে দোকানদারদের হাতে দোকানঘরগুলি তুলে দেওয়া
পুরসভার লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy