Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Russia

Russia-Ukraine War: তৃতীয় বারের জন্য যুদ্ধবিরতির ডাক দিল রাশিয়া, ইউক্রেন বলল, ও সব নাটক

মানব করিডর তৈরি করে দিতে ইউক্রেনের একধিক শহরে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা রাশিয়ার। ফরাসি প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত।

আবার যুদ্ধ বিরতির ডাক রাশিয়ার। শান্তি ফিরবে কি?

আবার যুদ্ধ বিরতির ডাক রাশিয়ার। শান্তি ফিরবে কি? রয়টার্স

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২২ ১১:১৯
Share: Save:

মানবিক করিডর তৈরি করে দিতে ইউক্রেনের একধিক শহরে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা রাশিয়ার। এই নিয়ে তৃতীয়বার। যদিও ইউক্রেন বলছে, এ সবই রাশিয়ার ‘নাটক’। কারণ এর আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেও রুশ সেনা আক্রমণ চালিয়েছে কিভ-সহ বহু শহরে। প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের।

ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে খারকিভ, মারিপুল এবং সুমি শহরে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকড়েঁর অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। দিন দু’য়েক আগে মাকড়েঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয় পুতিনের। মনে করা হচ্ছে, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।

যদিও একে আমল দিতে নারাজ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি। তাদের অভিযোগ, এর আগে দু’বার ইউক্রেনের মারিউপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। কিন্তু প্রতিবারই সেই বিরতি ভেঙে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

সোমবার ১২ দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে রবিবার জানানো হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে ২৬০ জন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে শরণার্থী হয়ে গিয়েছেন। ইউক্রেনের অভিযোগ, খারকিভের একটি পরমাণু চুল্লির কাছে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এই হামলা চালাতে তারা যে গ্র্যান্ড লঞ্চার ব্যবহার করছে, তার নিশানা তেমন পোক্ত নয়। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ওই পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এক বার যদি সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, তবে তার প্রভাব ইউরোপের দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির ডাক দিলেও তা সদর্থক ভাবে গ্রহণ করতে পারছে না কিভ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE