আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে দানব-বোমার হানাদারির পরে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আমেরিকার হাতে যদি ‘মোয়াব’ থাকে, রাশিয়ার হাতে আছে আরও শক্তিশালী বোমা। রাশিয়ান সেনারা যাকে চেনে ‘ফাদার অব অল বম্বস’ (ফোয়াব) বলে। এটা নাকি মোয়াব-এর থেকেও চার গুণ বড়। ২০০৭-এ রাশিয়া এই থার্মোব্যারিক বোমার পরীক্ষা করে। এ বার দেখে নেওয়া যাক, মোয়াব ও ফোয়াব কেমন এবং কতটা শক্তিশালী।
মাদার অব অল বম্বস বা মোয়াব:
জিবিইউ-৪৩ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট সংক্ষেপে মোয়াব। ২০০৩-এ ইরাক যুদ্ধের সময় জিপিএস পরিচালিত এই বোমা তৈরি করেছিল আমেরিকা। এই প্রথম ব্যবহার করল তারা। গুহা, সুড়ঙ্গ এবং ভূগর্ভস্থ ডেরা ধ্বংস করতে এ ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পরমাণু বোমার পরেই এই বোমা সবচেয়ে শক্তিশালী। এর ওজন ১০ হাজার কেজির মতো। ৮,১৬৪ কেজির মতো বিস্ফোরক থাকে এর মধ্যে। টিএনটি বিস্ফোরকের তুলনায় ১১ গুণ শক্তিশালী এই বোমা। এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব দেড় মাইল জুড়ে পড়ে। এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল, এই বোমা পরীক্ষণের পর মাশরুমের মতো দেখতে মেঘের সৃষ্টি হয়েছিল যা ২০ মাইল দূর থেকে দেখা গিয়েছিল।
ক্ষতির পরিমাণ
• ১০০০ গজ: সব কিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
• ১.৭ মাইল: বোমার শকওয়েভে মানুষের মৃত্যু হয়, সম্পত্তির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।
• ২ মাইল: বধির হয়ে যায় মানুষ, পশু।
• ৫ মাইল: প্রচন্ড কম্পন অনুভূত হয়।
• ৩০ মাইল: বিস্ফোরণের ফলে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় যে মাশরুমের মতো মেঘ সৃষ্টি হয় তা দেখতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দানবীয় বিস্ফোরণ! এক বোমায় ধ্বংস হয়ে গেল জঙ্গিদের বিশাল সুড়ঙ্গ-জাল
মোয়াব সম্পর্কিত কিছু তথ্য—
• এক একটি বোমা তৈরি করতে খরচ হয় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
• আমেরিকার কাছে এখনও পর্যন্ত এ রকম ২০টি অস্ত্র রয়েছে।
• মোয়াব তৈরির পর মনে করা হয়েছিল, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নন-নিউক্লিয়ার বোমা। কিন্তু থার্মোব্যারিক বোমা ফোয়াব পরীক্ষার পর রাশিয়া দাবি করে মোয়াব-এর থেকে এটা চার গুণ বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: কত বড় বোমা আছে ভারত, চিন, পাকিস্তানের হাতে জানেন কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy