মৃতদেহ উদ্ধার করে আনছেন উদ্ধারকারীরা। ছবি: রয়টার্স।
নিখোঁজ হওয়া রুশ সেনাবিমানের ধ্বংসাবশেষ মিলল কৃষ্ণ সাগরে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি মাত্র মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও অন্যান্য যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের পরিচয় মেলেনি।
সূত্রের খবর, রাশিয়ার উপকূল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণ সাগরে ৫০ থেকে ৭০ মিটার গভীরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। উদ্ধারকারী দল ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগ বা পাইলটের ভুলেই এই দুর্ঘটনা। যদিও সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
রবিবার ভোরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, এ দিন ভোর ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ ৯২ জনকে নিয়ে কৃষ্ণ সাগরের কাছে অ্যাডলার বিমানবন্দর থেকে উড়তে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনীর বিমান টিইউ-১৫৪ বিমানটি। বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে বিমানটির সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি বলে খবর। রাডারেও বিমানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সচি উপকূলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, যাত্রী নিয়ে বিমানটি সিরিয়ার একটি রুশ এয়ারবেসে যাওয়ার কথা ছিল। এই এয়ারবেস থেকেই সিরিয়ায় বিমানহানা চালায় রাশিয়া। কারণ, ক্রিসমাস উপলক্ষে ওই রুশ এয়ারবেসেই এক অনুষ্ঠানে তাঁদের গান এবং নাচ পরিবেশন করার কথা ছিল। ওই ৯২ জনের মধ্যে অনুষ্ঠানের লোকজন ছাড়াও সেনা, ৯ জন সাংবাদিক এবং ১০ বিমানকর্মী ছিলেন। একজন ছাড়া তাঁদের কারওই খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ দিন দুঃখপ্রকাশ করে এই দুর্ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy