Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Russian Army

Russia-Ukraine War: থামছে না রুশ গোলাগুলি, রাস্তায় পড়ে থাকা দেহ গোনাই অসম্ভব! বলছেন মারিয়োপোলের মেয়র

যুদ্ধের নয়া কৌশল রাশিয়ার। ইউক্রেন প্রশাসন বলল, ‘‘রাশিয়া আমাদের সঙ্গে যা করছে তা বর্ণনার জন্য কোনও শব্দ এখনও আবিষ্কার হয়নি।’’

ইউক্রেনের একটি আবাসনের উপর হামলা রুশ সেনার।

ইউক্রেনের একটি আবাসনের উপর হামলা রুশ সেনার। ছবি- রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
কিভ শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২২ ০৮:৪৭
Share: Save:

আর যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, রুশ সেনাবাহিনীর আক্রমণ এ বার ইউক্রেনের নাগরিকদের উপর। অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হাসপাতাল, স্কুল, দোকান-বাজারের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে পুতিন-সেনা। মুহুর্মুর্হু বোমা ফেলছে শহরবাসীর উপর। আহত হচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ। রাস্তাতেই মৃত্যু হচ্ছে অনেকের। এমনই অভিযোগ ইউক্রেনের।

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার নতুন কৌশল হল নাগরিকদের উপর আক্রমণ করে প্রশাসনের চাপ বাড়িয়ে দেওয়া। ইতিমধ্যে খাদ্য ও পানীয়ের সমস্যা, বেকারত্বের সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলেনস্কির দেশে। সংবাদ সংস্থার দাবি, শুক্রবারই রুশ বাহিনীর এই নয়া কৌশলের প্রমাণ মিলেছে। একটি জুতোর কারখানা, একটি মানসিক হাসপাতাল এবং বহুতল আবাসনে বোমা ফেলেছে রুশ সেনা। তাতে বেশ কয়েক জন নাগরিকের হতাহতের খবর মিলেছে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, এ ভাবেই ইউক্রেনের উপর নতুন পদ্ধতিতে চাপ সৃষ্টি করছে রাশিয়া।

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানাচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের ডিনিপ্রোর একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, একটি বহুতল আবাসন এবং দোতলা জুতো কারখানার উপরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার খবর মিলেছে। ইউক্রেনের দাবি, এতে কমপক্ষে ৫৬৪ সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জনবহুল এলাকায় রুশ সেনার আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন ৯৮২ জন। অভিযোগ, সাধারণ নাগরিকের উপর আক্রমণে ব্যবহার হচ্ছে ভারী কামান, রকেট এবং নিষিদ্ধ কিছু যুদ্ধাস্ত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল জানান, ইউক্রেনের স্কুল, হাসপাতাল এবং কিন্ডারগার্টেনগুলিতে ধ্বংসাত্মক হামলা চলেছে। রুশ বাহিনীর আক্রমণে অন্তত ২৬টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। অন্য দিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ জানান, পশ্চিম ইউক্রেনে দুই স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১২ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছেন তাঁরা। তা ছাড়া আহত ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন আট জন স্বাস্থ্যকর্মী।

যুদ্ধের ফলে ইতিমধ্যে ইউক্রেনে শুরু হয়েছে খাদ্যসঙ্কট। পানীয় জলের সরবরাহ কমে আসছে। চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না মানুষজন। ক্রমশ বাড়ছে শরণার্থী সমস্যা। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
মারিয়োপোলের পরিস্থিতি এমনই যে, সেখানকার মেয়র দাবি করেছেন রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহ গোনাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ, রুশ সেনার বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণে কোনও বিরতি থাকছে না। মেয়রের উপদেষ্টা পিওত্র আন্দ্রিউশেঙ্কার কথায়, ‘‘রাশিয়া আমাদের সঙ্গে যা করছে, তা বর্ণনার জন্য কোনও শব্দ আবিষ্কার হয়নি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy