টানা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত পাকিস্তান। — ফাইল চিত্র।
গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি। তার জেরে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। ধস নেমেছে সড়কে। গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রাণ হারালেন ৩৭ জন। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টি পাকিস্তানে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সেই থেকে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই মারা গিয়েছেন ২৭ জন। বেশির ভাগই শিশু। বাজাউর, খাইবার, পেশোয়ার, সোয়াট-সহ ১০ জেলা বিপর্যস্ত। এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কেপিকে আলি আমিন জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গোটা এলাকা। বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বালুচিস্তান প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে মারা গিয়েছেন পাঁচ জন। উপকূলবর্তী শহর গ্বাদরে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে বৃষ্টির। বন্যায় ধুয়ে মুছে গিয়েছে একের পর এক জনপদ। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। অগণিত মানুষ ঘরছাড়া। রাস্তাও ভেঙে পড়েছে। সে কারণে বিঘ্নিত উদ্ধারকাজ। নৌকায় চেপে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ। চলছে উদ্ধার।
পাকিস্তান এবং চিনের সংযোগকারী কারাকোরাম জাতীয় সড়কেও নেমেছে ধস। বৃষ্টি এবং বরফের কারণে বিপর্যয়। গিলগিট বালটিস্তান প্রদেশের মুখপাত্র ফৈজুল্লাহ্ ফারাক জানিয়েছেন, ধসের কারণে এখনও জাতীয় সড়কের বেশ কিছু অংশ বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল করতে পারছে না। বছরের এই সময় ওই অঞ্চলে তুষারপাত হয় না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারী বৃষ্টির কারণে গত সপ্তাহে সেখানে আটকে ছিলেন বহু পর্যটক। আগেভাগেই তাই পর্যটকদের উত্তরে যেতে বারণ করে দিয়েছিল প্রশাসন।
প্রতি বছর বর্ষা এবং শীতকালীন বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে পাকিস্তান। এ বছর শীতকালীন বৃষ্টি দেরিতে শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে পাকিস্তানে বন্যায় মারা গিয়েছিলেন ১৮০০ জন। ঘরছাড়া হন ৮০ লক্ষ মানুষ। কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy