Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
India-Canada Relation

কানাডার মন্দিরে ভক্তেরা আক্রান্ত খলিস্তানপন্থীদের হাতে! নিন্দা ট্রুডোর, মুখ খুলল ভারতও

কানাডায় অবস্থিত ভারতীয়দের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মন্দিরের বাইরেই শিবির খুলেছিল ভারতীয় উপদূতাবাস। রবিবার সেখানেও খলিস্তানপন্থীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

জাস্টিন ট্রুডো।

জাস্টিন ট্রুডো। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৯
Share: Save:

ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে খলিস্তান বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না। রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে একটি মন্দিরে ভক্তদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে খলিস্তানপন্থী জনতার বিরুদ্ধে। এমনকি ওই মন্দিরের বাইরে ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবিরেও হামলা চালানো হয়। এই হামলার নিন্দা করে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। উপদূতাবাসের তরফে আয়োজিত শিবিরে হামলা চালানোর প্রতিবাদ করেছে নয়াদিল্লিও।

রবিবার ব্রাম্পটনে ‘হিন্দু সভা মন্দিরে’ পুজো দিতে হাজির হন বেশ কয়েক জন ভক্ত। সেই সময় ওই মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী হিংসার প্রতিবাদে অবস্থানে বসেছিলেন খলিস্তানপন্থী কয়েক জন। তাঁদের হাতে ছিল খলিস্তানপন্থী সংগঠনের পতাকা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তেরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের উপরে চড়াও হয় খলিস্তানপন্থী জনতা। মারধরের হাত থেকে মহিলা এবং শিশুরাও রেহাই পায়নি বলে অভিযোগ।

এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন ট্রুডো। সেখানে তিনি লেখেন, “হিন্দু সভা মন্দিরে হিংসার ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। কানাডার প্রতিটি মানুষের অবাধে এবং নিরাপদে ধর্মাচরণ করার অধিকার রয়েছে।” ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার বিরোধী দলনেতাও।

অন্য দিকে, কানাডায় অবস্থিত ভারতীয়দের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই মন্দিরের বাইরেই শিবির খুলেছিল ভারতীয় উপদূতাবাস। সেখানেও খলিস্তানপন্থীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এই বিষয়ে সরব হয়েছে কানাডার ভারতীয় দূতাবাস। শিবিরে যোগ দেওয়া ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই কানাডা এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। সেই আবহে গত মঙ্গলবার কানাডার উপবিদেশমন্ত্রী ডেভিড মরিসনের মন্তব্য বিতর্ক আরও উস্কে দেয়। সম্প্রতি মার্কিন দৈনিক ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়, কানাডায় খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং তাঁদের উপরে হামলা চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছিলেন ‘ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারী’। সংবাদপত্রটি দাবি করে, অমিত শাহই সেই পদাধিকারী বলে কানাডার একটি সূত্র তাদের নিশ্চিত করেছে। উপবিদেশমন্ত্রী মরিসন মঙ্গলবার স্বীকার করেন, তিনিই সেই ‘সূত্র’। এই বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শাহের বিরুদ্ধে কানাডার মন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করে ভারত। স্পষ্ট জানানো হয়, এ ধরনের মন্তব্য ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক।

অন্য বিষয়গুলি:

Khalistan Justin Trudeau
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE