সাত সকালে জরুরি বৈঠক হবে রাজবাড়িতে। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে ডেকে আনা হয়েছে রাজকর্মচারীদের। রাজ পরিবারের সব সদস্যকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে প্রাসাদে। একটি মাত্র ট্যাবলয়েডে এ খবর বেরোনোর পরেই গোটা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নড়েচড়ে বসেছিল। বৃহস্পতিবার কাকভোরেই বাকিংহাম প্রাসাদের সামনে হাজির হয়ে গিয়েছিল সারি সারি ক্যামেরা। সাংবাদিকদের মনে তখন একটাই প্রশ্ন, তবে কি নবতিপর রানি বা তাঁর স্বামীর শরীর খারাপ হল? বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন রাজবাড়ির কর্মচারীরা। তাঁরা শুধু জানিয়েছিলেন এই জরুরি বৈঠক নিয়ে চরম কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
জল্পনার অবসান হল বেলা বাড়ার পরে। বাকিংহাম প্রাসাদের তরফেই একটি বিবৃতিতে আজ জানানো হয়েছে, রাজ দায়িত্ব থেকে অবসর নিচ্ছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী, প্রিন্স ফিলিপ। আগামী জুনে ৯৬ বছরে পড়বেন ডিউক অব এডিনবরা। তাঁর এই সিদ্ধান্তে স্ত্রী এলিজাবেথের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। আগামী অক্টোবরের পর থেকে আর কোনও অনুষ্ঠানে সরকারি ভাবে দেখা যাবে না তাঁকে। অর্থাৎ কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা যাবে না আর। তবে তিনি চাইলে কোনও অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত ভাবে যেতে পারেন। বর্তমানে প্রায় ৭৮০টি সংস্থায় চেয়ারম্যান বা সমগোত্রের কোনও শীর্ষ পদে রয়েছেন প্রিন্স ফিলিপ। বাকিংহামের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও ডিউক অব এডিনবরার সেই সব ক’টি পদই বহাল থাকবে। গত এক বছরে মোট ১১০টি অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছে প্রিন্স ফিলিপকে। নিজের নব্বইতম জন্মদিনেই অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, দায়িত্ব এ বার কাটছাঁট করতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy