সন্ত্রাসে যারা অর্থ জোগায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই সব দেশের তালিকায় পাকিস্তানের নাম তোলার সিদ্ধান্ত হয়নি কাল। এটুকু জেনেই বন্ধুদের কৃতজ্ঞতা জানাতে দেরি করেননি পাক বিদেশমন্ত্রী খাজা এম আসিফ। মাঝরাতেই টুইট করেন, ‘চেষ্টায় ফল মিলল। পাকিস্তানকে নজরদারির তালিকায় নেওয়ার জন্য আমেরিকার আনা প্রস্তাব নিয়ে সর্বসম্মতি হয়নি ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এ। যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
প্যারিসে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-এর বৈঠকে গত কাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও স্বস্তি প্রকাশে কি একটু তাড়াহুড়ো করে ফেললেন পাক বিদেশমন্ত্রী? মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র হেদার নর্টের বক্তব্যে তেমনই বার্তা মিলেছে। হেদার বলেছেন, ‘‘আমাদের ধারণা, বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হবে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’’ তবে পাক উচ্ছ্বাসে জল ঢেলেছে এফএটিএফ। তাদের মুখপাত্র এ ডব্লিউ ড্যানিয়েল বলেছেন, ‘‘অধিবেশন শুরু হয়েছে। সিদ্ধান্ত জানানো হবে শুক্রবার।’’
পাকিস্তান দাবি করেছিল, ওই বিশ্বমঞ্চে আমেরিকার পাক-বিরোধী চেষ্টা ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে। যদিও আসিফ নিজেই লিখেছেন, ‘তিন মাস অপেক্ষা করে এশিয়া-পেসিফিক গ্রুপের কাছে আর একটি রিপোর্ট নেওয়ার পরে আগামী জুন মাসে বিষয়টি বিবেচনা করার প্রস্তাব রয়েছে।’ যার অর্থ খাঁড়াটা পাকিস্তানের উপরে ঝুলছেই।
চলতি সপ্তাহেই হোক বা তিন মাস পরে, সন্ত্রাসের অর্থ জোগায় বা তার জন্য হাওয়ালা চক্র চালায়, এমন সন্দেহভাজন দেশগুলির তালিকায় নাম উঠলে আর্থিক ভাবে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে ইসলামাবাদ। বিদেশি আর্থিক সহায়তা জোটানো শক্ত হবে। ধাক্কা খাবে বাণিজ্যও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকা আর ততটা ‘বন্ধু’ নয় পাকিস্তানের। সন্ত্রাসে রাশ টানার শর্তে ঝুলিয়ে রেখেছে ৯০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য। রাষ্ট্রপুঞ্জ হাফিজ সইদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার পরেও ২৬/১১-র চক্রীকে মুক্তি দেওয়া নিয়েও ভাল রকম চাপে রয়েছে ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে নতুন মিত্রের সন্ধানে রয়েছে পাকিস্তান। তাদের বিদেশমন্ত্রী এখন রাশিয়া সফরে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy