জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। —ফাইল চিত্র
জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে আজ ফের বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর কোনও বিবৃতিও দেওয়া হবে না। কারণ এই বৈঠক বেসরকারি। পাকিস্তানের সব পরিবেশের বন্ধু চিনের দাবিতেই এই বৈঠক বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ সূত্রে খবর।
গত বছরের ৫ অগস্ট সংসদে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ঘোষণা এবং জম্মু-কাশ্মীরকে বিভাজনের পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে পেতে দরবার করে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু চিন ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্যদের প্রত্যেকেরই বক্তব্য, এই সংক্রান্ত কিছু বিষয় ভারতের অভ্যন্তরীণ, কিছু ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক। সেই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু পাকিস্তান নাছোড়। তাই চিনকে দিয়ে ফের সেই ইস্যুকে রাষ্ট্রপুঞ্জে টেনে তুলল ইসলামাবাদ।
তবে বৈঠকে ভারত বা পাকিস্তান কোনও দেশের প্রতিনিধিই থাকবে না। কারণ, দুই দেশের কেউই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। থাকবে চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড— নিরপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশগুলি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষনেতাদের গ্রেফতারি বা গৃহবন্দি করার মতো বিষয়।
৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর পরই রাষ্ট্রপুঞ্জে একই রকম একটি বৈঠক হয়েছিল গত অগস্টে। কিন্তু সেই বৈঠকে মুখ পুড়েছিল পাকিস্তানের। কারণ চিন ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি ইমরান খান। তার পর ফের পাকিস্তানের স্বার্থ তুলে ধরতে চিনের জোরাজুরিতে বৈঠক বসছে। চিন ছাড়া সবারই মত ছিল, নয়াদিল্লি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ডিসেম্বরে নিরাপত্তা পরিষদের আরও এক বার বৈঠকে বসার কথা থাকলেও তা হয়নি।
এ বারের বৈঠকেও বেজিং-ইসলামাবাদ আঁতাঁত কাজে আসবে না বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কারণ, চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কেউই এমন কোনও মন্তব্য বা মত প্রকাশ করেননি যে, কাশ্মীর প্রশ্নে তাঁদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে। এ বারের বৈঠকেও কার্যত ভারতের পাশে দাঁড়ানোরই ইঙ্গিত মিলেছে ফ্রান্স-ইংল্যান্ড-আমেরিকার মতো দেশের প্রতিনিধিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy