জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের সঙ্গে মিলে টাকা নয়ছয় করেছেন! এই অভিযোগ এনে গ্বালিয়রের রামকৃষ্ণ মিশনের এক সন্ন্যাসীকে ২৬ দিন ধরে ‘ডিজিট্যাল অ্যারেস্ট’ করে রাখার অভিযোগ উঠল। আর সেই সুবাদে প্রতিষ্ঠানের আড়াই কোটি টাকা প্রতারকেরা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ। গ্বালিয়রের পুলিশ সুপার ধর্মবীর সিংহ জানিয়েছেন, তদন্তের জন্য সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১৫ মার্চ প্রথম বার প্রতারকদের ফোন পেয়েছিলেন স্বামী সুপ্রদীপ্তানন্দ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকেরা নিজেদের ইডির কর্তা বলে দাবি করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ২০২৩ সালে জেট এয়ারওয়েজ কর্তার বিরুদ্ধে করা ইডির একটি এফআইআরের উল্লেখ করেন প্রতারকেরা। তাঁরা এ-ও জানান, ওই মামলায় কানাড়া ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। এর পরেই স্বামী সুপ্রদীপ্তানন্দকে তাঁরা জানান, কানাড়া ব্যাঙ্কে তাঁর নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনি ভাবে লেনদেন হয়েছিল বলে তাঁদের হাতে প্রমাণ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত কিছু ভুয়ো নথিও তাঁরা সন্ন্যাসীকে দেখান।
এর পরেই প্রতারকেরা দাবি করেন, রামকৃষ্ণ মিশনের অ্যাকাউন্টে যে টাকা রয়েছে তা যাচাই করে দেখতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। যাচাই করার পরে তা আবার প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেই কথা শুনে গ্বালিয়র রামকৃষ্ণ মিশনের অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রতারকদের হাতে তুলে দেন সন্ন্যাসী। তার পরেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ কোটি ৫২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। গত ১১ এপ্রিল পুলিশের দ্বারস্থ হয় রামকৃষ্ণ মিশন। তার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।