উঠে যাচ্ছে নৈশ কার্ফু ছবি: রয়টার্স
বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এই কারণে ভাটা পড়েছে বর্ষবরণের আনন্দেও। বেশির ভাগ আক্রান্ত দেশ নতুন বছর উদযাপনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে। তবে ওমিক্রন আবহে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মধ্যেও আশার আলো দেখা গেল ওমিক্রনের উত্পত্তিস্থল দক্ষিণ আফ্রিকায়।
ওই দেশের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় সম্ভবত সংক্রমণ ছড়ানোর সর্বাধিক মাত্রা পার করেছে ওমিক্রন তরঙ্গ। এ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন আক্রাম্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও নগণ্য। আর সেই কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার।
নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম হানা দেয় কোভিড ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণযোগ্য রূপ ওমিক্রন।
ওমিক্রন রূপের বিস্তার রোধ করতে বিধিনিষেধ কঠোর করার দৌড়ে রয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে করোনার অন্যান্য রূপের তুলনায় ওমিক্রন রূপ কম গুরুতর হতে পারে বলেও মত দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নৈশ কার্ফু শেষ করার ঘোষণার সময় একটি বিবৃতিতে জানান, ‘‘সমস্ত পরিস্থিতি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, দেশে চতুর্থ তরঙ্গ সংক্রমণ ছড়ানোর সর্বাধিক মাত্রা পার করেছে। তাই রাত কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে। জনগণের রাস্তায় বেরনোর উপরেও কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে আগের সাত দিনের তুলনায় সংক্রমণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। দেশের আটটি প্রদেশের হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এরপরেই একটু হলেও আশার আলো দেখছে বাকি আক্রান্ত দেশগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy