প্রতীকী ছবি।
দু’দিনে আগেই ওমিক্রনের সংক্রমণ-তালিকায় ছিল ১২টি দেশের নাম। আজ প্রকাশিত নতুন তালিকায় জানানো হয়েছে, অন্তত ৩০টি দেশে ঢুকে পড়েছে করোনার নতুন বিপজ্জনক স্ট্রেনটি। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের নামও। আমেরিকায় আজ প্রথম ওমিক্রন ধরা পড়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজ়িজ় প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ (ইসিডিসি) জানিয়েছে, যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন, শীঘ্রই ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই বিশ্বে ‘ডমিন্যান্ট’ বা মূল সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন স্ট্রেনের বিষয়ে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কে রিপোর্ট করেছিল ২৪ নভেম্বর। কিন্তু সাম্প্রতিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, তার বহু আগেই বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছিল স্ট্রেনটি। ইসিডিসি আজ তাদের বৈঠকে দাবি করেছে, আফ্রিকা মহাদেশের বোতসোয়ানায় প্রথম ওমিক্রন চিহ্নিত হয়েছিল ১১ নভেম্বর। দক্ষিণ আফ্রিকা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি, তাদের দেশে কবে প্রথম ধরা পড়ে স্ট্রেনটি। নভেম্বরের শুরু থেকে তারা রোগীদের মধ্যে ভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য করে। করোনা পরীক্ষাতেও ভাইরাসের এস-জিনের অনুপস্থিতি চোখে পড়ে সে দেশের বিজ্ঞানীদের। তার পরে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, নতুন স্ট্রেন। এখনও স্ট্রেনটির সংক্রমণ ও মারণ ক্ষমতা নিয়ে বেশিটাই অজানা। তবে ভাইরাসটির ম্যাথামেটিকাল মডেলিং দেখে ইসিডিসি-র বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গোটা ইউরোপের অর্ধেক করোনা সংক্রমণের জন্যই দায়ী হবে ওমিক্রন। যত দ্রুত এটি ছড়াবে, তত তাড়াতাড়ি ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই মূল সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে।
ইসিডিসি-র ডিরেক্টর অ্যান্ড্রিয়া অ্যামন বলেন, ‘‘এখনও অনেক কিছু অজানা। ফলে পরিস্থিতি যে কোনও মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। সংক্রমণের গতি যতটুকু কমানো সম্ভব, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। টিকাকরণের গতি বাড়ানো হচ্ছে। বুস্টার ডোজ় দেওয়ার কাজও চালু রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতির বাইরে যে দায়িত্বগুলো রয়েছে, সেগুলো মাথায় রাখা প্রয়োজন। যেমন, পারস্পরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা, মাস্ক পরা, ঘরের মধ্যে হাওয়া চলাচল ঠিক রাখা ইত্যাদি।’’ পর্যটনেও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছে ইউরোপ। অফিসগুলোকে বাড়ি থেকে কাজ করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায় আজ প্রথম ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ধরা পড়েছে। দেশের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ২২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরা এক পর্যটকের শরীরে স্ট্রেনটি মিলেছে। সংক্রমিত ব্যক্তির বয়স ৫০-এর নীচে। আমেরিকার ফেরার দিন কয়েক পর থেকে উপসর্গ দেখা দেয়। ২৮ নভেম্বর করোনা পরীক্ষা করান তিনি। পরের দিন পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সংক্রমিত ব্যক্তির টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হয়নি তাঁর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দ্রুত সেরে উঠছেন ওই ব্যক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy