মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ এবং শ্রীকৃষ্ণ মন্দির। — ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ বিবাদ সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি একসঙ্গে হলে দু’পক্ষেরই সুবিধা হবে। ইলাহাবাদ হাই কোর্টের রায় নিয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আর্জির প্রেক্ষিতে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছরই হিন্দু পক্ষের দাবি মেনে মথুরার শাহি ইদগাহ সরানো এবং বিতর্কিত ১৩.৩৭ একর জমির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছিল হাই কোর্ট। জানিয়েছিল, বিবাদ সংক্রান্ত সব মামলা একত্র করে শুনানি হবে। তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এমন বহু মামলা হয়েছে, যেগুলির ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। সেই সব মামলাগুলিকে মূল বিষয়ের মধ্যে যুক্ত করা হলে অনেক জটিলতা তৈরি হবে বিচারপ্রক্রিয়ায়।
মসজিদ কর্তৃপক্ষের ওই বক্তব্য মানতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। তাদের বক্তব্য, সব মামলা একত্র করে শুনানি হলে দু’পক্ষেরই সুবিধা হবে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘আমরা কেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব? এতে কিছুই হবে না। দু’পক্ষের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে শুনানির সংখ্যা কমানো যায়।’’
প্রসঙ্গত, মথুরার প্রাচীন কাটরা স্তূপ (যা কাটরা কেশবদাস নামে পরিচিত) এলাকায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের জন্মস্থানে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দিরটিও ধ্বংস করেছিলেন মোগল সম্রাট অওরঙ্গজেব। অভিযোগ, অওরঙ্গজেবের নির্দেশেই ১৬৬৯-১৬৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল শাহি মসজিদ। কাটরা কেশবদাস মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জমিতে। সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদের জেরেই প্রথমে গত বছরের সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতো মথুরা শাহি ইদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। তাই তারা ওই জমির রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy