‘হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভস’-এ শুনানি চলাকালীন আলেকজ়ান্দ্রিয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে জ়াকারবার্গ। রয়টার্স
ডেমোক্র্যাট নেত্রী আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-কোর্তেজ়ের তোপের মুখে পড়লেন ফেসবুক কর্তা মার্ক জ়াকারবার্গ। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে নজরদারি করার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েই মূলত সমালোচিত হয়েছেন জ়াকারবার্গ। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের অর্থনৈতিক পরিষেবা কমিটি এবং ওকাসিয়ো-কোর্তেজ়-সহ একাধিক সদস্য প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন ফেসবুকের সিইও-কে।
ফেসবুক সম্প্রতি লিব্রা নামে যে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প আনতে চলেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে জ়াকারবার্গকে। তাঁকে নিউ ইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য ওকাসিয়ো-কোর্তেজ় বলেছেন, ‘‘লিব্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার মনে হয়, আমাদের গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আপনার অতীতের এবং ফেসবুকের অতীতের আচরণ খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।’’ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মতো ব্যবহারকারীর তথ্য কখন নাড়াচাড়া করা হয়েছে এবং তা বিক্রি করা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি জ়াকারবার্গ-সহ ফেসবুকের অন্য শীর্ষ কর্তারা।
এক মামলার সূত্রে এ বছরই ফেসবুকের ভেতরকার একটি আলোচনা প্রকাশ্যে এসেছে। যা থেকে স্পষ্ট, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা যে নিয়ম ভেঙে তথ্য সংগ্রহ করেছিল, তা জানতেন সংস্থার শীর্ষ কর্তারা।
জ়াকারবার্গ বুধবার প্রথমে বলেন, তিনি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন যখন বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা শুরু হয়, সেটা ২০১৮ সালের মার্চ মাস। তখন ওকাসিয়ো-কোর্তেজ় জানতে চান, জ়াকারবার্গের নেতৃত্বে যে দল রয়েছে, তার মধ্যে কেউ বিষয়টি আগে থেকে জানতে কি না। ফেসবুক কর্তা তখন বলেন, ‘‘আমার ধারণা, হয়তো কেউ কেউ ভিতর থেকে নজরে রেখেছিল বিষয়টা। আমি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার অস্তিত্ব আগে থেকে জানলেও তারা ফেসবুককে কী ভাবে কাজে লাগাচ্ছিল, সেটা নির্দিষ্ট ভাবে আমার জানা ছিল না।’’ এ মাসে ফেসবুকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রচারমূলক বিজ্ঞাপনে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেনে কাজ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। সে প্রসঙ্গ টেনে ওকাসিয়ো-কোর্তেজ় তাঁকে বলেন, ‘‘আপনার কি মনে হয় না, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে তথ্যের সত্যতা যাচাই না করলে তাতে সমস্যা তৈরি হতে পারে?’’ ফেসবুকে কোনও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিয়ে কেউ যদি কোনও মিথ্যা প্রচার চালায়, তা হলে সেটা ফেসবুক সরিয়ে দেয় কি না, সে প্রশ্নের উত্তরে নীরব ছিলেন জ়াকারবার্গ।
পাশাপাশি অতি-দক্ষিণ মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে জ়াকারবার্গ নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন কেন, সে প্রশ্ন তুলতে সেটাও এড়িয়ে যান ফেসবুক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy