সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়ার মাধ্যমে ভারতকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দেওয়া শুরু করল চিন।— ফাইল চিত্র।
আলোচনার মাধ্যমে ডোকা লা বিতর্ক সমাধানে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে নয়াদিল্লি। সঙ্কট মেটাতে আগামী সপ্তাহেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে সঙ্গে নিয়ে বেজিং সফরে যাওয়ার কথা বিদেশসচিব এস জয়শঙ্করের। তার আগেই ফের ডোকা লা ইস্যুতে ভারতকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দিল চিন। শনিবার সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, ডোকা লা বিতর্কে আলোচনার কোন জায়গা নেই। ভারত ডোকা লা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে সেখানে।
ডোকা লা বিতর্ক শুরু হওয়ার পর থেকেই চিনা সংবাদপত্রে নানা ভাবে ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ দিক থেকে সবার আগে ছিল চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। এ বার একেবারে সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়ার মাধ্যমেও ভারতকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দেওয়া শুরু হল।
সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া বলেছে, ‘‘ডোকা লা এলাকা থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে চিন বার বার আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু, ভারত এই আর্জি মানতে অস্বীকার করেছে।’’ জিনহুয়ায় অভিযোগ করা হয়েছে, চিনের আবেদন সম্পর্কে চোখ বুজে থাকা মাসাধিক কালের অচলাবস্থা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। এর ফলে ভারত নিজেকেই আরও বিড়ম্বনায় ফেলতে চলেছে বলেও দাবি চিনা সংবাদ সংস্থার।
আরও পড়ুন: কথাই চাইছে কেন্দ্র, তাই চিন সফরে ডোভালের সঙ্গী জয়শঙ্করও
ডোকা লা নিয়ে রোজ একটু একটু করে সুর চড়াচ্ছে চিন। সেখান থেকে ভারত সেনা না সরালে চিন সামরিক পদক্ষেপ করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাবতীয় হুমকির মুখে অবিচলই থেকেছে নয়াদিল্লি। ২০১২ সালে চিন এবং ভারতের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, চিন তার শর্ত ভেঙেছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। ভারত, চিন এবং অন্য কোনও দেশের সীমান্ত যেখানে মিলেছে, সেই সব এলাকায় সীমান্ত সংক্রান্ত বিতর্কের মীমাংসা তিনটি দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই করতে হবে, এমনই শর্ত ছিল সেই চুক্তির। কিন্তু ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তবর্তী এলাকা ডোকা লা-য় একতরফা ভাবে বেজিং রাস্তা তৈরি করা শুরু করেছিল বলে অভিযোগ। চিন যে এলাকায় রাস্তা তৈরি করতে চাইছিল, তা ভুটানের এলাকা বলে থিম্পুর দাবি। দিল্লিও সেই দাবিকেই সমর্থন করছে। ডোকা লা-য় চিনের এই সড়ক নির্মাণ কর্মসূচি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত। ভারতীয় সেনা গত ১৬ জুন চিনের রাস্তা নির্মাণ আটকে দেয়। তারপর থেকেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সদিচ্ছা দেখিয়েছে নয়াদিল্লি। বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা চালাতে জয়শঙ্করের আগামী সপ্তাহেই চিনে যাওয়ার কথা। তার আগেই চিনা সংবাদ সংস্থার এই হুমকি নয়াদিল্লি কীভাবে দেখবে, সে দিকেই নজর কূটনৈতিক মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy