Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আইএস নেই বাংলাদেশে, সব মার্কিন চাল, ফুঁসে উঠল ঢাকা

এক দিকে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিব্রত গোটা দেশ। অন্য দিকে বাংলাদেশে আইএস ঢুকে পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশে শুরু হইচই। তার মধ্যে ‘যুদ্ধাপরাধী’দের শাস্তি রুখতে বিরোধী দল বিএনপি আর জামাতের তরফে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:১৭
Share: Save:

এক দিকে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিব্রত গোটা দেশ। অন্য দিকে বাংলাদেশে আইএস ঢুকে পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশে শুরু হইচই। তার মধ্যে ‘যুদ্ধাপরাধী’দের শাস্তি রুখতে বিরোধী দল বিএনপি আর জামাতের তরফে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা। চাপের মুখে ফুঁসে উঠল বাংলাদেশ সরকার। হাসিনা ক্যাবিনেটের দুই মন্ত্রী জোর গলায় জানালেন, বাংলাদেশে আইএস নেই। আইএস দমনের নামে বাংলাদেশে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা, দাবি দুই মন্ত্রীর।

শনিবার তীব্র ভাষায় আমেরিকাকে আক্রমণ করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ঢাকার কামরাঙ্গির চরে এক আলোচনায় সভায় এ দিন যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা ক্যাবিনেটের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সেখানেই আসাদুজ্জামান বলেন, ‘‘কোনও একটা ঘটনা ঘটলেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকায় একটি বার্তা চলে যায়। তখন আমেরিকার সাইট নামক প্রতিষ্ঠান বলে এটা আইএস করেছে। আইএস নামে কোনও সংগঠন বাংলাদেশে নেই।’’ কামরুল ইসলামের সুর ছিল আরও চড়া। তিনি বলেন, ‘‘উপলব্ধিও করতে পারবেন না যে বাংলাদেশ নিয়ে কী ষড়যন্ত্র হচ্ছে! যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, যারা বিভিন্ন দেশে জঙ্গিদের জন্ম দেয়, আইএস-এর জন্মদাতা সেই আমেরিকা, জঙ্গিদের মূল জন্মদাতা সেই আমেরিকা বলছে, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে আছি। এটা নতুন ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে কোনওভাবে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা চলছে।’’

কয়েক মাসের মধ্যে পর পর বেশ কয়েকটি জঙ্গি হানার শিকার বাংলাদেশ। কখনও মসজিদে প্রার্থনা করতে গিয়ে আক্রান্ত শিয়া সম্প্রদায়। কখনও তল্লাশি চৌকিতে আক্রান্ত কর্তব্যরত পুলিশ। কখনও আক্রান্ত সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে যেগুলির নাম বার বার উঠে আসে, সেগুলি হল জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসারুল্লা বাংলা টিম। কিন্তু, সাধারণ বাংলাদেশবাসীকে বেশি করে সন্ত্রস্ত করার জন্য এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিই নিজেদের সঙ্গে আইএস-এর যোগসূত্রের কথা প্রচার করে। দিনকয়েক আগে গাবতলিতে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের গুলিতে নিহত জেএমবি-র শীর্ষ সামরিক কম্যান্ডার মাহফুজও নিজেকে আইএস জঙ্গি বলে দাবি করত। এর পাশাপাশি রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ সম্পর্কে তৈরি হওয়া ধারণাও। হাসিনার দেশে আইএস-এর গতিবিধি বাড়ছে বলে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ ও আমেরিকা মনে করছে। আইএস দমনে আমেরিকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও ঘোষণা করেছে ওবামা প্রশাসন। কিন্তু বাংলাদেশের মন্ত্রীদের দাবি, সেদেশে আইএস-এর কার্যকলাপ বৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইচ্ছাকৃত ভুল ধারণা তৈরির চেষ্টা চলছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE