রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বাংলাদেশে এ বার নতুন ছাত্র সংগঠন তৈরি হচ্ছে। তার সম্ভাব্য নামও ঠিক হয়ে গিয়েছে। এই সংগঠনের মাথায় থাকছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। গত বছর বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যে ছাত্রেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবেন। আন্দোলন চলাকালীন প্রাক্তন শাসকদল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে কেউ কেউ শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন। এই প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাদের কেউ কেউ নতুন ছাত্র সংগঠনের মাথায় থাকতে পারেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম হতে পারে ‘বৈপ্লবী ছাত্রশক্তি’। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামের এক ছাত্র সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনে তারা বড় ভূমিকা নেয়। পরে ওই সংগঠন বিলুপ্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশের নতুন ছাত্র সংগঠনের অধিকাংশ উদ্যোক্তাই ওই বিলুপ্ত সংগঠনের সদস্য ছিলেন। সংগঠনের নেতৃত্বেও থাকবেন তাঁরা। এ ছাড়া, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত কেউ কেউ নতুন সংগঠনে যোগ দিতে পারেন। যদিও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পদাধিকারী কেউ এই সংগঠনে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
নতুন ছাত্র সংগঠনের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা জাতীয় নাগরিক কমিটির কোনও সম্পর্ক থাকবে না। সম্পূর্ণ নতুন সাংগঠনিক কাঠামোয় গড়ে উঠবে তাঁদের সংগঠন। আবার, বাংলাদেশে যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে, তার সঙ্গেও সরাসরি কোনও যোগ থাকবে না এই ছাত্র সংগঠনের।
আগামী বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলটির নাম ঘোষণা করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এই নতুন দল তৈরি হচ্ছে। অনেকে দাবি করেছেন, এর নেপথ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং! তবে এই তথ্যের কোনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই। সূত্রের খবর, নতুন দলের আহ্বায়ক পদে থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলেও জানা গিয়েছে।