—ফাইল চিত্র।
আস্থাভোটে হার নিশ্চিত জেনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়লেন কে পি ওলি।
অক্টোবরে ক্ষমতায় আসেন তিনি। সম্প্রতি প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন মাওবাদী দল ওলির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনায় পরিস্থিতি গরম হয়। সরকারের দুই শরিক দল মদেশীয় পার্টি ও রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি অনাস্থা প্রস্তাবে মাওবাদীদের সমর্থন করছিল। আস্থাভোটের আলোচনা চলার সময়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বুঝে ইস্তফা দিলেন সিপিএন(ইউএমএল)-এর নেতা।
ওলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি রাখেননি তিনি। তবে আজ তিনি দাবি করেছেন, ‘ভাল কাজ’ করার জন্যই তিরস্কৃত হলেন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও আজ সরব হন ওলি। তাঁর দাবি, তিনি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন ভারত-নেপাল সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। তাঁর চেষ্টাতেই সম্পর্ক অনেকটা স্বাভাবিক জায়গায় আসে।
নয়াদিল্লি অবশ্য দাবি করছে, ওলি ভারত নয়, বেজিং-এর সঙ্গেই সমঝোতা করে এগোচ্ছিলেন। তাঁর সময়েই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মদেশীয় ও থারু সম্প্রদায়ের দাবিগুলিকে নেপালের নতুন সংবিধানে স্থান দেওয়া হয়নি। উল্টে ওই সম্প্রদায়গুলির অধিকার খর্ব করা হয়। মদেশীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল নেপালের তরাই এলাকা। বিক্ষোভে নেপাল সীমান্তে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য। ওলির মদতেই ভারতকে প্যাঁচে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছে চিন। সে সময় বেজিং প্রকাশ্যে বলে, কাঠমান্ডুর উচিত বাইরের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত না করা। নয়াদিল্লি চিনা নেতৃত্বকে জানায়, ভারত হস্তক্ষেপের কূটনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু অচলাবস্থার কারণে ভারত-নেপাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধাক্কা খেলে কাঠমান্ডু বিপদে পড়বে।
ওলি সরে গেলে আপাত ভাবে নয়াদিল্লির খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু পরিবর্তে মাওবাদীরা ফের ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতি ভারতের অনুকূলে এসে যাবে, এমনটাও মনে করছেন না সাউথ ব্লকের কর্তারা। অতীতে প্রচণ্ডের সঙ্গে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা খুব একটা ভাল নয়। চিনের হাতে তাঁরাও যে তামাক খাবেন না, এমনটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রচণ্ড তাঁর এক দূতকে ভারতে পাঠিয়েছেন। তিনি চাইছেন, নয়াদিল্লির সমর্থন। কিন্তু নেপাল-পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক হয়েই এগোতে চাইছে ভারত। প্রচণ্ডের প্রতিনিধির সঙ্গেও তাই ধরি মাছ না ছুঁই পানি— অবস্থান নিয়েই কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। নেপাল পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি নয়াদিল্লি। কিন্তু নেপালের এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy