এই ক্যারিবু হরিণের দেহাবশেষ মিলেছে। ছবি: সৌজন্যে ইউকুন সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
কানাডার উত্তর-পশ্চিমে সোনার খনি। আর ইয়ুকুনের এই সোনার খনি নিয়েই চলছিল তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজ। ছিল খনির কর্মীরাও। সেই সময় মিলল ৫০ হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন দুটি পশুর মমি। একটি নেকড়ের ছানা আর একটি ক্যারিবু হরিণের শাবকের মমি মিলেছিল ২০১৬ সালেই। বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এল সেই প্রাণীদের মমিগুলির ছবি।
রোম, ত্বক, পেশী এগুলি জীবাশ্মের মধ্যে পাওয়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা নষ্ট হয়নি। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ধরলে বিশ্বের প্রাচীনতম ‘মামিফায়েড টিস্যু’-র মধ্যে পড়বে এটি।
ক্যারিবু শাবকটির ক্ষেত্রে মাথা, দুটি পা ও এবং হাত ও মাথা বাদ দিয়ে ধড়ের সম্পূর্ণ অংশটিই প্রায় এক রকম রয়ে গিয়েছে। আর নেকড়ের ছানাটির ক্ষেত্রে একটুও নষ্ট হয়নি পেশী কিংবা রোম। যেন সদ্য মারা গিয়েছে এই দুটি প্রাণী।
Ice age mummies found in Klondike gold fields on display in Dawson City. Tr'ondëk Hwëch'in @ChRobertaJoseph, @Premier_Silver and Minister of Tourism and Culture @jeaniedendys will be in Dawson today to unveil the mummified remains. Learn more: https://t.co/ma9aX3cjv6 pic.twitter.com/97QLi7kEHg
— Government of Yukon (@yukongov) September 13, 2018
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রাণীগুলি তুষার যুগে বিরাজ করত পৃথিবীতে, ঠিক যখন ম্যামথের মতো প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী, প্রাচীন আমলের গন্ডার ও হাতি ছিল পৃথিবীতে।
আরও পড়ুন: আমাদের রক্তেই মিশে রয়েছে সোনা!
প্রাচীন যুগের এই প্রাণীগুলি আবিষ্কার কিন্তু ডিসকভারি চ্যানেলের গোল্ড রাশ শোয়ের টোনি বিটসের দল । ফেসবুকে এ কথা তিনি শেয়ারও করে নিয়েছেন। নিমেষের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। দেড় হাজার জন তা লাইক করেন।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার সোনার চাঙড় মিলল নিকেলের খনি খুঁড়তে গিয়ে
ডেস মোয়েনেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ জুলিয়ে মিয়েশেন গবেষণা করেছেন এই প্রাণীগুলি নিয়ে। বছর দুয়েক গবেষণার পর এ গুলিকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হল।
এই নেকড়ের দেহাবশেষ মিলেছে। ছবি: সৌজন্যে ইউকুন সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
এই পশুগুলির বয়স ৫০ হাজার বছরের বেশি, তা রেডিও-কার্বন ডেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে বলা গেলেও তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এই প্রাণীগুলির খাদ্যনালীতে যদি প্রাচীন কোনও ব্যাকটিরিয়া থাকে, করা হবে তার সন্ধান। একটি প্রাণী অপর প্রাণীটির শিকারই ছিল এ ক্ষেত্রে। তবুও কবে তাদের মৃত্যু হয়েছিল, কী খেত তারা, জিনের গঠনই বা কেমন, এ গুলি জানতে পারলে প্রাচীন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানা সম্ভব হবে।
ডওসন সিটির সংগ্রহশালায় রাখা রয়েছে এই প্রাচীন প্রাণীগুলি। এরা ঘুরত-ফিরত বেরিঞ্জিয়ায়। বেরিঞ্জিয়া প্রাগৈতিহাসিক যুগের একটি স্থলভাগ যা এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাকে সংযুক্ত করেছিল। প্লিস্টোসিন যুগের কিছু পর্বে পৃথিবীর তাপমাত্রা এত নিচে নেমে গিয়েছিল যে ভূ-
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy