চলতি বছরের শেষেই সাধারণ নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। বুধবার এমনটাই জানালেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার ঢাকায় সরকারি অতিথি নিবাস যমুনা ভবনে ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন জার্মান সরকারের অন্যতম কমিশনার জারাহ ব্রুন। সেখানেই ইউনূস ভোটের সম্ভাব্য সময়ের কথা জানান।
জার্মান সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জানান, বার্লিনের সঙ্গে ‘ভিন্ন মাত্রা’র সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় ঢাকা। তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে জার্মানির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমরা ভিন্ন মাত্রার একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।” ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের জন্য ইউনূস জার্মান কমিশনারের কাছে সাহায্য চান। বলেন, “নতুন বাংলাদেশের জন্য আপনাদের সব ধরনের সহায়তা দরকার। আমরা জাতীয় নির্বাচনকে সফল করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।”
গত কয়েক মাস ধরে শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিরোধী দলগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। দ্রুত জাতীয় সংসদের নির্বাচন চেয়ে বিএনপি ক্রমশ অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি করছে। অন্য দিকে, জামায়াতে নেতৃত্ব চাইছেন এ ক্ষেত্রে ইউনূসকে ‘প্রয়োজনীয় সময়’ দিতে।
আরও পড়ুন:
গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার ইস্তফা এবং ঢাকা ছেড়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে ইউনূস সরকারের সঙ্গে বিএনপির সখ্য ছিল। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাগাদা দিয়ে ক্রমশ জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে খালেদার দল। রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনের সার্বিক সংস্কার কর্মসূচির নাম করে ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারে শামিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।