‘মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল’ নিজের যে কেতাদুরস্ত ছবি পুলিশকে পাঠিয়েছে।
‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ বলে কি তার সাধ-আহ্লাদ থাকতে পারে না?
পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে বলে কি তার নিজের পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে না?
হলই-বা সে পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিলাল’, সে তো চাইতেই পারে সকলে তার কেতাদুরস্ত, আমিরি চালের ছবিটাই দেখুক!
‘একুশে আইনে’ও বলা নেই, কোনও ‘ওয়ান্টেড ক্রিমিনালে’র ‘শোম্যানশিপ’ থাকলে চলবে না!
তাই সে সটান পুলিশকে তার একটা কেতাদুরস্ত ছবি পাঠিয়ে দিয়েছে। আর তার পরেও সেই ‘বাহাদুর ক্রিমিনাল’ নিজেকে পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই রেখে দিয়েছে।
ডোনাল্ডের যে ছবি পুলিশের রেকর্ডে ছিল।
মার্কিন নাগরিক ওই ‘বাহাদুর ক্রিমিনালে’র নাম ডোনাল্ড এ ‘চিপ’ পাঘ। পর্তুগালের লিমা পুলিশ দফতর যাকে বেশ কিছু দিন ধরে খুঁজছে। অগ্নি সংযোগ, লুঠপাট আর গুণ্ডামির অভিযোগে। তার খোঁজ দেওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যম আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের রেকর্ডে থাকা তার একটি লাল-চোখো ছবি।
তা একেবারেই ভাল্লাগেনি ডোনাল্ডের। পুলিশের চোখে মাসের পর মাস ধুলো দিয়ে থাকলে কি হবে, ডোনাল্ড সব সময় নিজেকে কেতাদুরস্ত সাজে সাজিয়ে রাখতে ভালবাসে। তাই সকলে তার ওই লাল চোখের একটা বদমেজাজি ছবি দেখুক, এটা ডোনাল্ডের মোটেই পছন্দ হয়নি।
হয়নি বলেই সটান লিমা পুলিশের সদর দফতরে ডাক মারফৎ তার একটা কেতাদুরস্ত ছবি পাঠিয়ে দিয়েছে ওই ‘বাহাদুর ক্রিমিনাল’।
এখানেই শেষ নয়। পরে সে আবার একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছে একটি রেডিও স্টেশনে। যেখানে ডোনাল্ডকে বেশ দুঃখের সঙ্গে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘শ্রোতারা শুনুন, ওরা (পুলিশ) আমার প্রতি যথেষ্টই অবিচার করেছে।’’
ওই কেতাদুরস্ত ছবি পাঠিয়ে সহযোগিতা করার জন্য লিমা পুলিশের তরফে ডোনাল্ডকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘আরও ভাল হয়, ডোনাল্ড এ বার সরাসরি পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy