সিরিয়া। ফাইল চিত্র।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে হুমকি আসার পর এক দিনও কাটল না, সিরিয়ার তাইফুরে বিমান বাহিনীর ছাউনিতে আছড়ে পড়ল ‘রহস্যময়’ ক্ষেপণাস্ত্র। এই ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছে সিরিয়ার আসাদ প্রশাসন। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়নি।
প্রশ্ন উঠছে হামলার পেছনে কারা?যদিও ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের জড়িত থাকার কথা পেন্টাগনের তরফে অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সিরিয়ার আকাশপথে কোনও হামলা চালায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি সিরিয়ায়বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি বলে পরিচিত ডুমায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ফাঁস হয়ে যাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। অভিযোগ, হামলার পর থেকেই ডুমা এলাকা ঘিরে রেখেছে আসাদের সেনাবাহিনী। কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও আসাদকেই দায়ী করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসাদকে পশুর সঙ্গে তুলনা করে তাঁর হুমকি, ‘‘উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।’’ এর পরেই হামলার মুখে পড়ে তাইফুরের বিমান ছাউনি।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় রাসায়নিক হানায় মৃত্যু ৮০ জনের
আরও পড়ুন: হাফিজদের নিষিদ্ধ করতে বিল পাকিস্তানে
এর আগে ২০১৭ সালেও বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে ‘সারিন’ গ্যাস প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এর জবাবে সিরিয়ার সামরিক ছাউনিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পুরনো ঘটনার রেশ টেনে তাইফুর হামলাতেও মার্কিন প্রশাসনের হাত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আজ সন্দেহ প্রকাশ করেছিল সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা। তবে পরের দিকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy