Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

১৪ দিনে মা-বাবার কাছে ফেরাতে হবে শিশুদের

শেষে নিজমুখে বলেছেন, ‘‘পরিবার বিচ্ছিন্ন থাকবে না। বিচ্ছিন্ন পরিবারের ছবি দেখে আমার ভাল লাগেনি।’’

ফাইল চিত্র। এপি।

ফাইল চিত্র। এপি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৩:২৯
Share: Save:

অভিবাসী আটক কেন্দ্রে পরিবারগুলিকে একসঙ্গে রাখতে গত সপ্তাহেই এক প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে জ়িরো টলারেন্স নীতি নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। শেষে নিজমুখে বলেছেন, ‘‘পরিবার বিচ্ছিন্ন থাকবে না। বিচ্ছিন্ন পরিবারের ছবি দেখে আমার ভাল লাগেনি।’’

এ বার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোর ফেডারেল বিচারক ডেনা সাব্র এক নির্দেশে জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্ন শরণার্থী শিশুদের (যাদের বয়স পাঁচের নীচে) ১৪ দিনের মধ্যে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। যে সব শিশুদের বয়স পাঁচের বেশি, তাদের ৩০ দিনের মধ্যে বাবা-মায়ের কাছে ফেরাতে হবে। গত বছর আমেরিকায় এসে ছ’বছরের মেয়ের থেকে আলাদা হয়ে যান এক মা। তাঁর হয়ে মামলা দায়ের করেছিল ‘আমেরিকান সিভিল লির্বাটিজ় ইউনিয়ন (এসিএলইউ)।’ সেই সূত্রে আদালতের এই নির্দেশ। মার্কিন সরকারের তৈরি করা এই জটিল পরিস্থিতি যে ভাবে সামাল দেওয়া হচ্ছে, তার সমালোচনা করেন বিচারক ডেনা। শুধু ওই মা নন, এসিএলইউ যে সব তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে, তাতে আরও অনেক বিচ্ছিন্ন বাবা-মায়ের কথা রয়েছে, যাঁরা সীমান্তে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরে আর সন্তানের মুখ দেখতে পাননি।

শুধু সান ডিয়েগোর আদালতের এই নির্দেশ নয়, মেক্সিকো সীমান্তে পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে আমেরিকার ১৭টি প্রদেশ। ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়া-সহ বিভিন্ন প্রদেশের ডেমোক্র্যাটিক অ্যাটর্নি জেনারেলরা মামলা দায়ের করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ট্রাম্পের নয়া প্রশাসনিক নির্দেশে কোথাও বলা নেই যে, জ়িরো টলারেন্স নীতি ফের প্রয়োগ করা হবে না। ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্ন ২৩০০-রও বেশি শিশুর কী হবে, তা এখনও অস্পষ্ট। ট্রাম্পের নির্দেশ প্রসঙ্গে নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল গুরবীর গ্রেওয়াল বলছেন, ‘‘নিষ্ঠুর একটা নীতি...। প্রশাসন রোজ একটা করে পরস্পর-বিরোধী নীতি নিয়ে আসছে।’’ আর নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল বারবারা আন্ডারউড বলছেন, প্রশাসন ‘গভীর যন্ত্রণা’ তৈরি করছে। তাঁর দাবি, নিউ ইয়র্কে যে শরণার্থী শিশুদের আটকে রাখা হয়েছে, তাদের অনেকেরই অবসাদের চিকিৎসা চলছে। আত্মঘাতী হওয়ার প্রণবতা থেকেও ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে অনেককে। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের সিয়াটলে ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলাটি দায়ের করেছেন তাঁরা।

ট্রাম্পের প্রশাসনিক নির্দেশ জারি হওয়ার পরে গত সোমবার থেকে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরোতে গিয়ে যাঁরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান কেভিন ম্যাকালিন্যান।

অন্য বিষয়গুলি:

Migrant Family separation অভিবাসী
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE