ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ভারতীয় দলকে সমর্থন করাটাই ‘অপরাধ’। ব্যস, এইটুকুই! সে জন্য খাঁচাবন্দি হতে হল একদল মানুষকে। দুবাইয়ে এমনটা ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সে দেশের সংবাদপত্র ‘খালিজ টাইমস’। ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়েও পড়েছে। তার জেরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। ঘটনার সঙ্গে জড়িতে এক জনকে আটক করেছে দুবাই প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার এফসি এশিয়ান কাপে ভারত বনাম সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ফুটবল ম্যাচ ছিল। যেখানে ২-০ গোলে ভারতকে হারায় তারা। তবে, এই ঘটনাটি ম্যাচের আগে ঘটেছে বলে ওই সংবাদপত্রের দাবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, খাঁচার মধ্যে বন্দি একদল মানুষ। আর খাঁচার সামনে লাঠি নিয়ে বসে এক ব্যক্তি। একে একে বন্দিদের কাছে তিনি জানতে চাইছেন, তাঁরা কোন দলের সমর্থক? ভারত না কি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর? যাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী বলছেন, দরজা খুলে খাঁচা থেকে তাঁদের বেরিয়ে যেতে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি। আর ভারত বললেই, খাঁচার তারে লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করছেন। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তাঁদের দেশে থেকে ভারতকে সমর্থন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ভিডিয়োটি যিনি টুইটারে আপলোড করেছিলেন, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, খাঁচায় বন্দি লোকজন তাঁর অধীনে গত ২২ বছর ধরে কাজ করছেন। ম্যাচের আগে সকলে মিলে মজা করছিলেন। কারও উপর কোনও অত্যাচার করা হয়নি।
🔻دولـة الامارات العربية المتحدة
— فاطمة الحبسي (@AlhabsiFatma) January 11, 2019
النائب العام للدولة: تم اتخاذ الإجراءات القانونية ضد صاحب فيديو حبس أشخاص من الجنسية الآسيوية داخل قفص طيور ليدفعهم لتشجيع المنتخب الإماراتي وعرضه على النيابة المختصة باعتبار أن هذا المسلك جريمة معاقب عليها قانونا ولايعبر عن قيم التسامح فالإمارات pic.twitter.com/twUlfbsXaQ
ভাইরাল সেই ভিডিয়ো।
আরও পড়ুন: এক মহিলাও যাবেন মহাকাশে, চন্দ্রযান-২ রওনা হবে এপ্রিলে, জানাল ইসরো
আরও পড়ুন: মেয়ের পড়ার খরচ রত্নার হাতেই দিতে হবে শোভনকে, নির্দেশ হাইকোর্টের
তবে দুবাই প্রশাসন বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। তাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের আচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী। একে অপরকে সম্মান জানাতে অভ্যস্ত। তাই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভিডিয়োটি যিনি রেকর্ড করেছিলেন, তাঁকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy