প্রতীকী ছবি।
প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, চিনের সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বর্তমান জো বাইডেন সরকারের মুখেও এ বার শোনা গেল সেই একই ক্ষোভ। গত কাল হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, অতিমারির গোড়ার দিকের দিনগুলোতে ঠিক কী ঘটেছিল, সেই সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে চিনকে। হু-র তদন্ত নিয়েও তাদের যথেষ্ট প্রশ্ন আছে।
বহু টালবাহানার পরে অবশেষে হু-র তদন্তকারী দলকে চিনে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল শি চিনফিং সরকার। গত এক মাসে উহানের মাংসের বাজার থেকে উহান ইনস্টিটিউটের ভাইরোলজি বিভাগের গবেষণাগার, একাধিক এলাকা ঘুরে দেখছেন হু-র বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন চিনা তদন্তকারী অফিসারেরাও। চার সপ্তাহব্যাপী তদন্তের পরে এ সপ্তাহে হু-র দল জানিয়েছে, উহান ইনস্টিটিউটের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রশ্নই নেই। এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস শুক্রবার বলেন, করোনার উৎস যা কিছু হতে পারে। সব সম্ভাবনা খোলা রয়েছে।
উহানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার সময়ে তদন্তকারী দলের দু’এক জন সদস্যের ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে এসেছিল। তা ছিল এ রকম— ‘‘উহান ইনস্টিটিউট বড় প্রতিষ্ঠান। যথেষ্ট সুরক্ষাবিধি রয়েছে। এখান থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রশ্ন নেই। আগে থেকেই জানতাম।’’ উহানের সি-ফুড বাজার নিয়ে কেউ তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কিছু বলেননি কেউ।
আমেরিকার বরাবরের দাবি, উহানের ল্যাব থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে। হু বিষয়টি ঢাকার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাদের। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান গত কাল একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, চিনা সরকারের প্রভাব বর্জিত নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট চাই।
জবাবে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। হু-র সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ করেছে। চিন-সহ যে সব দেশ অতিমারি পরিস্থিতিতে হু-র পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন তাদের দিকে আঙুল তুলতে পারে না আমেরিকা।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হু-র সঙ্গে আমেরিকার সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে পুনরায় সেই সম্পর্ক জুড়তে চান। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে চিন। কিন্তু সেই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, বিশ্বের প্রথম সারির দেশ হিসেবে আমেরিকা তাদের ‘মানমর্যাদা’ বজায় রাখুক। এবং অন্য দেশগুলোর দিকে নিশানা করা বন্ধ করুক।
সালিভানের বক্তব্য, বাইডেন পদে এসেই হু-র সঙ্গে সুসম্পর্ক ফেরানোয় জোর দিয়েছেন। কিন্তু হু-রও উচিত তাদের কাজকর্মের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখা। তাঁর কথায়, ‘‘কোভিড-১৯ নিয়ে হু যে তদন্ত করেছে, তার রিপোর্ট নিয়ে আমাদের গভীর সংশয় রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy