ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার সেনেটে দ্বিতীয় বারের ইমপিচমেন্ট শুনানিতে ছাড় পেলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডবে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন ছিল। তবে শুনানিতে সেনেটের ৫৭ জন সদস্য ট্রাম্পের বিপক্ষে দাঁড়ান। আরও ১০ জন সেনেটর ট্রাম্পের বিপক্ষে দাঁড়ালে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া স্থগিত হত না। ৪৩ জন সেনেটর ট্রাম্পের পক্ষে থাকেন। শনিবার সেনেটে এই ফলাফলের ভিত্তিতে ক্যাপিটল-তাণ্ডবের অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেন ট্রাম্প। এর ফলে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইতে দাঁড়ানোয় কোনও বাধা থাকল না ট্রাম্পের।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সেনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল-তাণ্ডবের ১ সপ্তাহ পরেই গত ১৩ জানুয়ারি আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ শুনানির পর সেনেটে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেনেটে গত ৫ দিনের ইমপিচমেন্ট শুনানিতে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে একের পর এক সদস্য ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে সওয়াল করেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল-তাণ্ডবের ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়ে তাঁদের যুক্তি, প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের শপথভঙ্গ করেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরেও শেষ চেষ্টা হিসাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে নিজের সমর্থকদের উস্কানি দিয়ে ক্যাপিটলে হিংসায় মদত দিয়েছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্তকারীদের মধ্যে ৭ জন সেনেটর তাঁর নিজের দলের অর্থাৎ রিপাবলিকান সদস্য। ওই রিপাবলিকানরা হলেন নর্থ ক্যারোলাইনার রিচার্ড বার, লুইজিয়ানারা বিল ক্যাসিডি, মেইন-এর সুসান কলিন্স আলাস্কার লিসা মুরকোওস্কি, ইউটার সেনেটের মিট রমনি, নেব্রাস্কার বেন সাস, পেনসিলভ্যানিয়ার প্যাট্রিক টোমি-র মতো পোড়খাওয়া সেনেটের। ফলে ক্যাপিটল-তাণ্ডবের অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেও কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছেন ট্রাম্প। যদিও ইমপিচমেন্ট শুনানির রায়ের পর নিজের চিরাচরিত বেপরোয়া ভঙ্গিতেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের দেশের ইতিহাসে সেরা বলির পাঁঠা খোঁজার আর একটা পর্বমাত্র।’’
শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের সাফ যুক্তি ছিল, এটা কোনও একদিনের বিষয় নয়। বরং নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটচুরির অভিযোগ তুলে ধরার জন্য কী ভাবে ট্রাম্প প্রায় দু’মাস ব্যয় করেছেন, তা-ও দাবি করেন ডেমোক্র্যাটরা।
তবে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বার ইমপিচমেন্টের পরেও নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন ট্রাম্প। একটি বিবৃতিতে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘আমাদের ঐতিহাসিক, দেশাত্মক এবং অতীব সুন্দর আন্দোলনের মাধ্যমে আমেরিকাকে ফের আগের মতোই সেরা করার পথচলা শুরু হয়েছে মাত্র’। তার জন্য ট্রাম্প কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘অনেক কাজ করা বাকি। এবং আমেরিকার উজ্জ্বল ও সীমাহীন ভবিষ্যতের জন্য শীঘ্রই একটি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ফিরব’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy