Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
British Columbia

Severed Feet Mystery: বার বার ভেসে আসে জুতো পরা কাটা পা! ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রে কী রহস্য লুকিয়ে

বহু দিন ধরেই এই রহস্যের কোনও উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম প্রথম তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, এটা কোনও ধারাবাহিক খুনীর কাজ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১ ১২:১৫
Share: Save:
০১ ১১
১৮৮৭ সাল। ভ্যাঙ্কুভারের সমুদ্রসৈকতে হেঁটে বেড়ানোর সময় ঝোপের মধ্যে মানুষের কাটা পা দেখতে পান এক মহিলা। বুটের ভিতর যেন সযত্নে রাখা ছিল ওই পা। সেই থেকেই ওই জায়গার নাম হয়ে যায় লেগ ইন বুট স্কোয়ার। সেই ঘটনায় তাৎক্ষণিক চাঞ্চল্য তৈরি হলেও সে ভাবে মানুষের মনে সাড়া ফেলেনি।

১৮৮৭ সাল। ভ্যাঙ্কুভারের সমুদ্রসৈকতে হেঁটে বেড়ানোর সময় ঝোপের মধ্যে মানুষের কাটা পা দেখতে পান এক মহিলা। বুটের ভিতর যেন সযত্নে রাখা ছিল ওই পা। সেই থেকেই ওই জায়গার নাম হয়ে যায় লেগ ইন বুট স্কোয়ার। সেই ঘটনায় তাৎক্ষণিক চাঞ্চল্য তৈরি হলেও সে ভাবে মানুষের মনে সাড়া ফেলেনি।

০২ ১১
১৯১৪ সালে ফের একই ঘটনা ঘটে। সমুদ্রসৈকত থেকে ফের বুটের ভিতর মানুষের পা উদ্ধার হয়। এই ভাবে একের পর এক জুতো-সহ মানুষের পা উদ্ধার হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রসৈকত থেকে। পর পর একই ভাবে এতগুলি মানুষের পা উদ্ধার স্বাভাবিক ভাবেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

১৯১৪ সালে ফের একই ঘটনা ঘটে। সমুদ্রসৈকত থেকে ফের বুটের ভিতর মানুষের পা উদ্ধার হয়। এই ভাবে একের পর এক জুতো-সহ মানুষের পা উদ্ধার হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রসৈকত থেকে। পর পর একই ভাবে এতগুলি মানুষের পা উদ্ধার স্বাভাবিক ভাবেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

০৩ ১১
শুধু ২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২১টি এরকম পা উদ্ধার হয়েছে। শেষ বার উদ্ধার হয়েছিল ওয়াশিংটনের জেটি আইল্যান্ড থেকে। এই উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি কাদের, কিছু ক্ষেত্রে তার খোঁজ মিললেও বেশির ভাগেরই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে উদ্ধার হওয়া মানুষের কাটা পা’টি যেমন অ্যান্টোনিও নেইল নামে এক ব্যক্তির ছিল যিনি ২০১৬ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

শুধু ২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২১টি এরকম পা উদ্ধার হয়েছে। শেষ বার উদ্ধার হয়েছিল ওয়াশিংটনের জেটি আইল্যান্ড থেকে। এই উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি কাদের, কিছু ক্ষেত্রে তার খোঁজ মিললেও বেশির ভাগেরই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে উদ্ধার হওয়া মানুষের কাটা পা’টি যেমন অ্যান্টোনিও নেইল নামে এক ব্যক্তির ছিল যিনি ২০১৬ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

০৪ ১১
২০১৮ সালে পশ্চিম ভ্যাঙ্কুভারের সমুদ্রসৈকতে নাইকির জুতোর মধ্যে ভেসে এসেছিল পা। নীল রঙের মোজাও পরা ছিল। কোন ব্যক্তির পা এটি ছিল তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার পর শুধু জানা গিয়েছিল, ৫০ বছর বয়স ছিল তাঁর।

২০১৮ সালে পশ্চিম ভ্যাঙ্কুভারের সমুদ্রসৈকতে নাইকির জুতোর মধ্যে ভেসে এসেছিল পা। নীল রঙের মোজাও পরা ছিল। কোন ব্যক্তির পা এটি ছিল তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার পর শুধু জানা গিয়েছিল, ৫০ বছর বয়স ছিল তাঁর।

০৫ ১১
২০০৭ সালে আবার ওয়াশিংটন থেকে ওই সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে আসা এক কিশোরী একটি অ্যাডিডাসের জুতো পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি হাতে নিয়েই আঁতকে ওঠেন তিনি। ভিতরে তখনও রয়ে গিয়েছে মানুষের কাটা পা। ওই পা কার তা জানা যায়নি কিন্তু ২০০৩ সালে অ্যাডিডাস সংস্থা ভারতে ওই জুতো প্রস্তুত করত এবং ভারতেই এই জুতো পাওয়া যেত। তাই ওই ব্যক্তি ভারতীয় বলেই মনে করা হয়েছিল।

২০০৭ সালে আবার ওয়াশিংটন থেকে ওই সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে আসা এক কিশোরী একটি অ্যাডিডাসের জুতো পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি হাতে নিয়েই আঁতকে ওঠেন তিনি। ভিতরে তখনও রয়ে গিয়েছে মানুষের কাটা পা। ওই পা কার তা জানা যায়নি কিন্তু ২০০৩ সালে অ্যাডিডাস সংস্থা ভারতে ওই জুতো প্রস্তুত করত এবং ভারতেই এই জুতো পাওয়া যেত। তাই ওই ব্যক্তি ভারতীয় বলেই মনে করা হয়েছিল।

০৬ ১১
তেমনই আবার জানা যায়, ২০০৮ সালে নাইকির জুতোর মধ্যে উদ্ধার হওয়া পা ২১ বছরের এক কিশোরের ছিল। যিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে বেশির ভাগেরই খোঁজ মেলেনি।

তেমনই আবার জানা যায়, ২০০৮ সালে নাইকির জুতোর মধ্যে উদ্ধার হওয়া পা ২১ বছরের এক কিশোরের ছিল। যিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে বেশির ভাগেরই খোঁজ মেলেনি।

০৭ ১১
বছরের পর বছর ধরে রহস্যজনক ভাবে সমুদ্রসৈকতে জুতোর মধ্যে মানুষের কাটা পা ভেসে আসায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল মানুষের মনে। ওই সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা ঝিনুক কিংবা নানা রকম সামুদ্রিক প্রাণীর খোঁজ করতেন না, তাঁদের সমস্ত ইন্দ্রিয় বরং সজাগ থাকত ভেসে আসা জুতো খুঁজে পেতে।

বছরের পর বছর ধরে রহস্যজনক ভাবে সমুদ্রসৈকতে জুতোর মধ্যে মানুষের কাটা পা ভেসে আসায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল মানুষের মনে। ওই সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা ঝিনুক কিংবা নানা রকম সামুদ্রিক প্রাণীর খোঁজ করতেন না, তাঁদের সমস্ত ইন্দ্রিয় বরং সজাগ থাকত ভেসে আসা জুতো খুঁজে পেতে।

০৮ ১১
বহু দিন ধরেই এই রহস্যের কোনও উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম প্রথম তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, এটা কোনও ধারাবাহিক খুনির কাজ। খুন করে পা কেটে এ ভাবেই হয়তো দেহাংশ সমুদ্রে ভাসিয়ে দিত। স্রোতের সঙ্গে ভেসে যা পৌঁছে যেত ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রসৈকতে।

বহু দিন ধরেই এই রহস্যের কোনও উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম প্রথম তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, এটা কোনও ধারাবাহিক খুনির কাজ। খুন করে পা কেটে এ ভাবেই হয়তো দেহাংশ সমুদ্রে ভাসিয়ে দিত। স্রোতের সঙ্গে ভেসে যা পৌঁছে যেত ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রসৈকতে।

০৯ ১১
পরবর্তীকালে বহু তদন্তের পর তদন্তকারীরা জানান, বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রে ঘটা দুর্ঘটনা কিংবা আত্মহত্যার কারণে মৃতদেহগুলি সমুদ্রেই পড়ে থাকে। সমুদ্রের নোনা জলে সেগুলিতে পচন ধরে যায়। কিন্তু পায়ের যে অংশ বুটের ভিতর ঢাকা থাকে সেগুলিতে নোনা জল সহজে ঢুকতে পারে না।

পরবর্তীকালে বহু তদন্তের পর তদন্তকারীরা জানান, বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রে ঘটা দুর্ঘটনা কিংবা আত্মহত্যার কারণে মৃতদেহগুলি সমুদ্রেই পড়ে থাকে। সমুদ্রের নোনা জলে সেগুলিতে পচন ধরে যায়। কিন্তু পায়ের যে অংশ বুটের ভিতর ঢাকা থাকে সেগুলিতে নোনা জল সহজে ঢুকতে পারে না।

১০ ১১
জল ঢুকতে পারে না বলে বুটের ভিতরে সেই অংশটুকুতে সহজে পচন ধরে না। তার উপর বুট জলে ভেসে থাকায় ভিতরে জল ঢোকার সম্ভাবনা কমে যায়। সে কারণেই হয়তো শুধুমাত্র বুটের মধ্যে সযত্নে রয়ে যাওয়া পায়ের অংশ ভেসে চলে আসে সমুদ্রসৈকতে। দেহের অন্য কোনও অংশ কখনও এ ভাবে উদ্ধার হয়নি।

জল ঢুকতে পারে না বলে বুটের ভিতরে সেই অংশটুকুতে সহজে পচন ধরে না। তার উপর বুট জলে ভেসে থাকায় ভিতরে জল ঢোকার সম্ভাবনা কমে যায়। সে কারণেই হয়তো শুধুমাত্র বুটের মধ্যে সযত্নে রয়ে যাওয়া পায়ের অংশ ভেসে চলে আসে সমুদ্রসৈকতে। দেহের অন্য কোনও অংশ কখনও এ ভাবে উদ্ধার হয়নি।

১১ ১১
এর পরও একটি প্রশ্ন রয়ে যায়। কেন ব্রিটিশ কলম্বিয়াতেই বার বার ভেসে আসে এগুলি? যার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইনস্টিটিউট অব ওসিয়ান সায়েন্সেস-এর সমুদ্রবিদ রিচার্ড থম্পসন জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ ভাবেই সমুদ্র স্রোতের কারণে হয়ে থাকে।

এর পরও একটি প্রশ্ন রয়ে যায়। কেন ব্রিটিশ কলম্বিয়াতেই বার বার ভেসে আসে এগুলি? যার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইনস্টিটিউট অব ওসিয়ান সায়েন্সেস-এর সমুদ্রবিদ রিচার্ড থম্পসন জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ ভাবেই সমুদ্র স্রোতের কারণে হয়ে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE