(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনায় মৃত তরুণী এলিজ়াবেথ কিজ়। (ডান দিকে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমান। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর জন্মদিন ছিল বুধবার। আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন বাড়িতে ফিরে পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন উদ্যাপন করবেন। কী কী করবেন, কোথায় যাবেন, সব ঠিকও করে ফেলেছিলেন। বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, বিমানে করে ফিরছেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে যে ফেরা হবে না, জন্মদিনও পালন করা হবে না, কে জানত! তার আগেই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ওহায়োর বাসিন্দা এলিজ়াবেথ কিজ়ের। ৩৩ তম জন্মদিন ছিল এলিজ়াবেথের।
কন্যার মৃত্যুর খবর শুনে দিশাহারা হয়ে পড়েন তাঁর বাবা মার্টিন এবং মা মেরি লিজ়। আক্ষেপের সুরে তাঁরা বলেন, ‘‘ও আমাদের কোল খালি করে চলে গেল। আমরা এখন কী নিয়ে বাঁচব।’’ এলিজ়াবেথের মা বলেন, ‘‘খুব হাসিখুশি ছিল লিজ়। সকলকে নিয়ে থাকতে ভালবাসত। বাড়িতে এলেই ওর বন্ধুদের ভিড় লেগে থাকত।’’
বস্টনের টাফট্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন লিজ়। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। ওয়াশিংটনে ওকালতির কাজ শুরু করেছিলেন। কানসাসে গিয়েছিলেন একটি কাজে। সেখান থেকে বুধবারই ফেরার কথা ছিল তাঁর। কারণ ওই দিনই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু সেই জন্মদিন আর পালন করা হল না। তাঁর আগেই আধাঁর নেমে এল গোটা পরিবারে।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় সেনা কপ্টারের সঙ্গে ধাক্কায় ভেঙে পড়ে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান। সেটিতে ৬৪ জন যাত্রী ছিলেন। পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ইতিমধ্যেই ৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এলিজ়াবেথ কিজ়। কী ভাবে দুর্ঘটনা হল, কার দোষ ছিল, তা নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া চলছে। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনায় সন্তানকে হারিয়ে এখন হাহাকার কিজ় পরিবারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy