—প্রতীকী ছবি।
জম্মু-কাশ্মীর হল ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। বেজিং এই সমস্যার মধ্যে নিজেকে জড়াবে না। বৃহস্পতিবার এ কথা স্পষ্ট করে জানাল চিনের বিদেশ মন্ত্রক। বিপুল বিনিয়োগে তৈরি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে বলেই চিন কাশ্মীর বিতর্কে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সংস্থাকে এ কথা জানানো হয়েছে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রক এ দিন সংবাদ সংস্থাটিকে পাঠানো এক ই-মেল বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘কাশ্মীর ইস্যুতে চিনের অবস্থান স্পষ্ট এবং অপরিবর্তিত। এই বিতর্কটি হল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান একটি ঐতিহাসিক বিতর্ক এবং ভারত-পাকিস্তানই উপযুক্ত আলোচনার মাধ্যমে এই বিতর্কের সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করবে।’’ চিনা বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ‘‘সিপিইসি নির্মাণের কারণে চিনের কাশ্মীর নীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি যে ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এবং আলোচনা আরও বাড়িয়ে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় যৌথ ভাবে কাজ করবে।’’
আরও পড়ুন: ফোনে সিরিয়া নিয়ে কথা ট্রাম্প, পুতিনের
চিন ও পাকিস্তানের এই যৌথ অর্থনৈতিক করিডর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই করিডরের জন্য চিন নিজের কাশ্মীর নীতি বদলে ফেলবে না। জানিয়েছে বেজিং। —ফাইল চিত্র।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ কয়েক দিন আগেই কাশ্মীর সমস্যা সম্পর্কে অন্য রকম মত প্রকাশ করা হয়েছিল। গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, বিপুল বিনিয়োগে তৈরি সিপিইসি-কে রক্ষা করার স্বার্থেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে সক্রিয় হতে প্রস্তুত চিন। ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে চিন মধ্যস্থতা করার আগ্রহ দেখানোয় বিতর্ক শুরু হয়। ভারত বরাবরই বলে এসেছে, কাশ্মীর বিতর্ক শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এই বিতর্কে কোনও তৃতীয় পক্ষকে ভারত ঢুকতে দেবে না। ভারতের এই অবস্থান জানা সত্ত্বেও চিন কেন বিষয়টির মধ্যে ঢুকতে চাইল, প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েই। বৃহস্পতিবার চিনা বিদেশ মন্ত্রক কিছুটা পিছু হঠল। দিন কয়েক আগে গ্লোবাল টাইমস-এ যা লেখা হয়েছিল, সে অবস্থান থেকে সরে গিয়ে চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানাল, সিপিইসি কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে বলে কাশ্মীর বিতর্কের বিষয়ে চিনের নীতি বদলে যাবে না। এই বিতর্কে নিজেদের না জড়ানোর যে নীতি চিন এত দিন অনুসরণ করে এসেছে, ভবিষ্যতেও সেই নীতিই অনুসৃত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy