কাবুলে দ্বিতীয় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। ছবি: এপি।
পরপর দু’টি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ কাবুলে। প্রাণ হারালেন কম করে ২৫ জন। জখমের সংখ্যা অন্তত ৪৫। আফগান রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রস্থলে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে। এই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএফপি-র চিফ ফোটোগ্রাফার সাহ মারাই-সহ আট জন সাংবাদিক এবং চার জন পুলিশও। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ১১ জন শিশুও, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
কাবুল পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম বিস্ফোরণের খবর সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সাহ মারাই-সহ ওই আট সাংবাদিকও। তখনই দ্বিতীয় আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটে। হামলা পর আইএস স্বঘোষিত সংবাদমাধ্যম আমাক নিউজ এজেন্সি-তে জানিয়েছে, এই হামলা তাদেরই। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতর। বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং ন্যাটোর অফিসও রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর কাবুল পুলিশের প্রধান হাশমত স্টানেকজাই জানিয়েছেন, প্রথম আত্মঘাতী জঙ্গি একটি মোটরবাইকে ঘটনাস্থলে এসেছিল। বিস্ফোরণস্থলে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। স্বভাবতই সকালের দিকে প্রচুর ব্যস্ততা থাকে সেখানে। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছিল প্রথম ব্যক্তি। প্রথম বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৪ জনের।
#UPDATE Agence France-Presse's chief photographer in Kabul, Shah Marai, has been killed.
— AFP News Agency (@AFP) April 30, 2018
He died in a blast that was targeting a group of journalists who had rushed to the scene of a suicide attack in the Afghan capital pic.twitter.com/rOa4rg24x9
এই বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পৌঁছন সাংবাদিকরাও। অফিসযাত্রী অনেক সাধারণ মানুষও ভিড় করতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে। আর ঠিক এই সুযোগটাই নেয় দ্বিতীয় আত্মঘাতী জঙ্গি। সাংবাদিক সেজে সাংবাদিকদের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। আর তখনই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে।
এএফপি-র চিফ ফটোগ্রাফার সাহ মারাই ওই আত্মঘাতী জঙ্গির খুব কাছেই ছিলেন। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। লুটিয়ে পড়েন তাঁর সঙ্গে আরও সাত সাংবাদিক। দু’টি বিস্ফোরণ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ২৫ জনের। আহত কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কাবুল পুলিশের প্রধান হাশমত স্টানেকজাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy