রাতারাতি পরমাণু শক্তিধর হওয়ার ক্ষমতা রাখে জাপান। তাই উত্তর কোরিয়াকে এখনই সামলানো জরুরি। না হলে বিপদ হতে পারে।
চিনকে এমনই কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন আমেরিকার সরকারি গণমাধ্যমে দেওয়া ভাষণে নিজেই জানিয়েছেন এই বার্তার কথা। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেই এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে বিডেন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যে ভাবে উত্তর কোরিয়া একের পর এক পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ঘটিয়ে চলেছে, তাতে আমেরিকা উদ্বিগ্ন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি সরকারি গণমাধ্যমে যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতেও সেই উদ্বেগ ধরা পড়েছে। চিনের পরোক্ষ প্রশ্রয়েই উত্তর কোরিয়ার এই যুদ্ধের হুঙ্কার বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিডেন। তাঁর মতে, আমেরিকা এবং চিন যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তা হলে বিপদ বাড়বে। বিডেনের কথায়, ‘‘যদি জাপান আগামিকাল পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে ফেলে, তা হলে কী হবে? আক্ষরিক অর্থেই রাতারাতি পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা রাখে তারা।’’
এই কথাগুলি তিনি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলেছেন বলেও বিডেনের দাবি। কোন আলোচনায় তিনি জিনপিংকে এই কথা বলেছেন, তা নিয়ে বিডেন অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দাবি, উত্তর কোরিয়াকে প্রভাবিত করতে সবচেয়ে বেশি সক্ষম চিন। কিন্তু একের পর এক পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করতে থাকা উত্তর কোরিয়াকে চিন কোনও কড়া বার্তা দিচ্ছে না বলে বিডেন প্রকারান্তরে বোঝাতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: এনএসজির পাল্টা এমটিসিআর, চিনকে রোখার ক্ষমতা পেল ভারত
কিম জং উনের দেশ এমন ক্ষেপণাস্ত্রও বানিয়ে ফেলেছে যা প্রশান্ত মহাসাগর টপকে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। সে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর জন্য আমেরিকার হাতে উপযুক্ত অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম অবশ্য রয়েছে। তবে পরিস্থিতি ততটা তিক্ত হোক, ওয়াশিংটন তা চাইছে না। তাই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী জাপানের প্রসঙ্গ টেনে এনেছে আমেরিকা। জাপান পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠলে চিনের পক্ষে তা যে মোটেই স্বস্তির হবে না, তা বলাই বাহুল্য। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সে কথা মাথায় রেখেই চাপে ফেলতে চেয়েছেন চিনকে। বুঝিয়ে দিয়েছেন, চিনের প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়া অবাধে পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে যদি রোজ আমেরিকাকে হুঙ্কার দিতে থাকে, তা হলে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বী জাপানকেও রাতারাতি পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠার ছাড়পত্র দিতে আমেরিকা আর ভাববে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy