জেন অস্টিন
শেষ জীবনে প্রায় অন্ধ হতে বসেছিলেন ঔপন্যাসিক জেন অস্টিন। তার কারণ, সম্ভবত আর্সেনিকের প্রভাব। সম্প্রতি অস্টিনের ব্যবহৃত তিন জোড়া চশমা পরীক্ষা করেছে ব্রিটিশ লাইব্রেরি। আর তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারে থাকতেন উনিশ শতকের এই অন্যতম শক্তিশালী লেখিকা। তাঁর ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’, ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি’, ‘ম্যানসফিল্ড পার্ক’ উপন্যাসগুলো বিশ্ব সাহিত্যের সম্পদ। ১৮১৭-র ১৮ জুলাই মাত্র ৪১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় জেনের। কেন এত কম বয়সে, তা নিয়ে অনেক আলোচনা বিশ্লেষণ হয়েছে। অনেকে বলেছেন, মৃত্যুর কারণ যক্ষ্মা। অনেকে আবার বলেন, ক্যানসার হয়েছিল লেখিকার।
ব্রিটিশ লাইব্রেরির গবেষকদের অনুমান, আর্সেনিকের বিষক্রিয়াতেই হয়তো এত কম বয়সে থেমে গিয়েছিল জেনের কলম। সম্ভবত সে সময় বাতের ব্যাথায় ভুগতেন তিনি। আর তাঁর জন্যই নিয়মিত ব্যাথার ওষুধ খেতে হতো তাঁকে। গবেষণা বলছে, সে সময় বাতের ব্যথার ওষুধে আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু ব্যবহার করা হতো। এ ভাবেই জেনের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল আর্সেনিক-বিষ।
জেনের তিন জোড়া চশমা পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তাঁর ‘পাওয়ার’ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছিল। প্রথম কাচ জোড়ার পাওয়ার ছিল +১.৭৫, দ্বিতীয়টির +৩.২৫ এবং সর্বশেষ ব্যবহার করা কাচের পাওয়ার +৫.০। আর আর্সেনিকের বিষক্রিয়াতেই এমনটা হওয়া সম্ভব বলে অনুমান গবেষক-চিকিৎসকদের।
তবে গবেষকদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন জেন অস্টিনের চিঠিপত্র সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত লে ফায়ে। তাঁর দাবি, মৃত্যুর ছ’সপ্তাহ আগেও চশমা ছাড়াই, চিঠি লিখেছেন জেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy