সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহারে নিজেদের দক্ষতা আগেই প্রমাণ করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এ বার নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গোপন চ্যাটিং-এর অ্যাপও তৈরি করে ফেলেছে তারা। এমনই জানিয়েছে ‘ঘোস্ট সিকিউরিটি গ্রুপ’ নামের একটি সংস্থা। ‘আলরাউ’ এবং আইএস-এর অন্যতম মুখপাত্র ‘আমাক’ নামের এই দু’টি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছে সংস্থাটি। দু’টি অ্যাপই অ্যানড্রয়েড সিস্টেম-এর জন্য তৈরি। কিন্তু এই অ্যাপ দু’টিকে গুগ্ল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি জিহাদকে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আইএস হ্যাকারদের দলে টানতে চেষ্টা করছে বলে খবর।
‘ঘোস্ট সিকিউরিটি গ্রুপ’ জানিয়েছে, ‘আলরাউ’ অ্যাপটি প্রধানত গোপন এনক্রিপ্টেড বার্তা বিনিময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। অন্য দিকে ‘আমাক’ অ্যাপটি আইএস-এর হয়ে প্রচার চালাতে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের কাজে লাগে। অ্যানড্রয়েডের যে কোনও অ্যাপ প্রধানত গুগ্ল প্লে স্টোরের মাধ্যমে ডাউনলোড করা যায়। সে ক্ষেত্রে সহজে নজরে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই দু’টি অ্যাপ গুগ্ল প্লে স্টোরে নেই। আইএস-এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মোবাইল বা ট্যাবে অ্যাপ কোডটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ বেশ কিছু লোক আইএস-এর নাম লিখিয়েছে। ফলে এই ধরনের অ্যাপ তৈরি আদৌ অসম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আইএস-এর বিস্তারে সোশ্যাল মিডিয়া বড় ভূমিকা নিয়েছে। আইএস প্রযুক্তির এই দিকগুলি ব্যবহারে যে দর তা বার বার প্রমাণ করেছে। আইএস-এর হত্যালীলার একের পর এক ভিডিও ইন্টারনেটের দৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও আঘাত হানার পরে প্রধানত ইন্টারনেটেই তার দায় স্বীকার করে আইএস। আইএস-এর হয়ে লড়তে দলে দলে বিদেশীদের সিরিয়ায় হাজির হওয়ার অন্যতম কারণও এই সোশ্যাল মিডিয়াই।
সোশ্যাল মিডিয়া একটি সমস্যাও আছে। আইএস এই কর্মকাণ্ডের উপরে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সহজে নজর রাখতে পারে। তাই এই গোপন পন্থা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইএস-এর ইন্টারনেটের কর্মকাণ্ড বেশ কিছু দিন ধরেই নজরে রাখছে ‘ঘোস্ট সিকিউরিটি গ্রুপ’। এঁদের দাবি, ২০১৫-এ ইন্টারনেটে আইএস-এর সঙ্গে জড়িত ৫৭ হাজার অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে তাঁরা।
এর আগে গোপনে খবর আদান-প্রদানের জন্য আইএস ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপটি ব্যবহার করত। ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপটিতেও এনক্রিপ্টেড বার্তা বিনিময় করা যেত। নানা মহল থেকে আপত্তি ওঠায় ‘টেলিগ্রাম’ শেষ পর্যন্ত আইএস-এর সঙ্গে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলিকে নিস্ক্রিয় করে দেয়। যদিও এখনও আইএস-এর সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু ‘টেলিগ্রাম’-এর অ্যাকাউন্ট চালু আছে বলে অভিযোগ। এ বার নতুন অ্যাপের সন্ধান মেলায় শঙ্কা আরও বাড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy