জঙ্গি হামলায় দেশের অন্যতম শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফকরিজাদেহ-র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের নয়া তিক্ততা শুরু হল ইরান ও ইজ়রায়েলের মধ্যে। ইরান এই ঘটনার জন্য সরাসরি ইজ়রায়েলকে দায়ী করেছে। তাদের নিশানায় আমেরিকাও। দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই বিজ্ঞানী হত্যায় ‘চরম প্রতিশোধে’র ডাক দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে ‘সহায়তা’ করার জন্য রাশিয়া ও চিনের মোট চারটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ‘ইউএসএস নিমিৎজ়’ রণতরীকে ফের পশ্চিম এশিয়ায় পাঠিয়ে গোটা অঞ্চলের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়ে দিল আমেরিকার বিদায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ইজ়রায়েল।
শুক্রবার রাতে রাজধানী তেহরানের অদূরে আবসার্দ শহরের কাছে মহসেনের গাড়ির উপর হামলা চালায় একদল জঙ্গি। গুলিবিদ্ধ হন মহসেন। পাল্টা গুলি চালান মহসেনের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের গুলিতে অন্তত ৩/৪ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহসেনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচির মূল মস্তিষ্ক বলা হয় মহসেনকে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের কাছে তিনি ‘ইরানের বোমার জনক’। এর আগেও ইরানের চার জন পরমাণু বিজ্ঞানীর খুনের পিছনে ইজ়রায়েল রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তেহরান। মহসেনের মৃত্যুকে সামনে রেখে ইজ়রায়েল-আমেরিকা জোটের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে ইরান। দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি বলেছেন, ‘‘ইরানের শত্রুরা মহসেনকে ঘৃণা করত। ওঁকে থামানো যাচ্ছে না দেখে তারা চরম হতাশায় ভুগছিল।’’ একই সঙ্গে তাঁর হুমকি, ‘‘এতে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার গতি কমবে না।’’