Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
International News

দেশপিছু মার্কিন গ্রিন কার্ডের সংখ্যা বাড়বে? বিল পেশ কংগ্রেসে

কংগ্রেসে ওই বিল পাস হয়ে নতুন আইন হলে, ভারত ও চিনের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশের আবেদনকারীদের অল্প অপেক্ষায় গ্রিন কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

মঙ্গলবার ভোট মার্কিন কংগ্রেসে। — ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার ভোট মার্কিন কংগ্রেসে। — ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:৫১
Share: Save:

পাকাপাকি ভাবে আমেরিকায় থাকা ও সেখানে চাকরি করার আশায় বছরের পর বছর ধরে যাঁরা হাপিত্যেশ অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদের কি এ বার সুদিন আসতে চলেছে? বছরে দেশপিছু যত গ্রিন কার্ড এখন ইস্যু করা হয় আমেরিকায়, তার সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার জন্য হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সেনেট, মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই বিল আনা হয়েছে।

এখন দেশ-পিছু ওই সীমা বছরে ৭ শতাংশ। বিলের প্রস্তাব, তা অন্তত ১৫ শতাংশ করা হোক। কংগ্রেসে ওই বিল পাস হয়ে নতুন আইন হলে, ভারত ও চিনের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশের আবেদনকারীদের অল্প অপেক্ষায় গ্রিন কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আমেরিকায় এই গ্রিন কার্ডকে বলা হয় ‘পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড’।

বুধবার সেনেটে ওই বিলটি আনেন রিপাবলিকান সদস্য মাইক লি এবং ডেমোক্র্যাট সদস্য কমলা হ্যারিস। গত সপ্তাহে এই লক্ষ্যেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে একটি বিল আনা হয়। গুগলের মতো সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি ও মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স বিলটিকে সমর্থন করছে।

ভারত, চিন-সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এখন এইচ-ওয়ানবি ভিসায় মার্কিন মুলুকে চাকরি করতে যান মূলত সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে। কিন্তু সেই ভিসার একটি মেয়াদ থাকে। তা ফুরনোর পর ভিসার পুনর্নবীকরণ হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় যার জন্য অনেক বেশি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে আবেদনকারীদের।

আরও পড়ুন- এইচওয়ানবি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি, ফের সরব গুগল, মাইক্রোসফট​

আরও পড়ুন- ভিসায় বদলের প্রস্তাব​

সেই অসুবিধা এড়াতে এবং পাকাপাকি ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব ও তার যাবতীয় সুযোগসুবিধা পেতে মার্কিন মুলুকে এইচ-ওয়ান ভিসায় কর্মরতদের একটি বড় অংশ গ্রিন কার্ড পেতে চান। কিন্তু সেই কার্ড পেতে এখন দশকের পর দশক সময় গড়িয়ে যায়। কারণ, বছরে কতগুলি গ্রিন কার্ড ইস্যু করা হবে, মার্কিন প্রশাসন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এখন দেশ-পিছু তার ৭ শতাংশ হারে ফিবছর ওই কার্ড দেওয়া হয় বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের। এর ফলে, ভারত, চিনের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশের আবেদনকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাঁদের দীর্ঘ দিন ধরে বসে থাকতে হয় হাপিত্যেশ অপেক্ষায়। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, ভারতীয় আবেদনকারীদের জন্য সেই অপেক্ষার সময়সীমাটা ১৫১ বছরও হতে পারে।

অন্যান্য দেশের শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীদের এনে পাকাপাকি ভাবে মার্কিন সংস্থায় কাজ করানোর জন্য এখন ফিবছর ১ লক্ষ ৪০ হাজার গ্রিন কার্ড দেওয়া হয় আমেরিকায়। সেনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে আনা বিল পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে সেই সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা বাড়বে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE