ব্রুক এডি।
২০০২ সালে ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন মার্কিন তরুণী ব্রুক এডি। রাস্তার ধারের দোকানে দোকানে চা খেয়ে একেবারে ‘ফিদা’ হয়ে যান। দেশে ফিরে অনেক খুঁজেও এমন স্বাদের চা আর পাননি। ভারতে খাওয়া চায়ের স্বাদটাই যে আলাদা। তখনই মাথায় আসে নতুন উদ্যোগের ভাবনা। খুলে ফেলেন ‘ভারতীয় ঘরানা’র চায়ের দোকান। নাম রাখেন ‘ভক্তি চা’। সেই চায়ের বন্ডে ব্রুক আজ বেঁধে ফেলেছেন হাজারে হাজারে ‘ভক্ত’কে।
২০০৭ সালে শুরু। শুরুর দিকে নিজের গাড়িতে করেই কলোরাডোয় চা বিক্রি শুরু করেছিলেন। ব্রুক এডির সেই ছোট্ট চায়ের দোকানের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবসার পরিমাণ দ্রুতই তরতরিয়ে বাড়তে থাকে। অভাবনীয় সাফল্যের পর দোকান করার ভাবনাটা মাথায় আসে। চাকরি ছেড়ে দেন। পুরো সময় দিতে থাকেন চা-এর ব্যবসায়। দেখতে দেখতে ১০ বছর পেরিয়ে গেল। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, এ বছর ‘ভক্তি চা’-এর ব্যবসার অঙ্কটা ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে (ভারতীয় মূল্যে সাড়ে ৪৫ কোটি টাকার বেশি)।
ভারতের কথা উঠলেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন ব্রুক। তাঁর কথায়, “আমি কলোরাডোর হিপি বাবা-মায়ের সন্তান। বড় হয়েছি মিশিগানে। ভারতের সঙ্গে আমার কোনও নাড়ির যোগ থাকার কথা নয়। কিন্তু আমার আছে। আমি এখানকার (ভারতের) বৈচিত্র আর হইচইকে দারুণ ভালবাসি।”
আরও পড়ুন: গোলকুন্ডা থেকে আঁতোয়ানেত হয়ে নিলামঘর
কলোরাডোয় তাঁর ‘ভক্তি চা’-এর স্টলে পাওয়া যায় নানা স্বাদের চা। যে কারণে, সেখানকার মানুষ কফির পাশাপাশি নানা স্বাদের ‘ভারতীয় চা’-এর টানে ভিড় জমান ব্রুকের স্টলে। ব্রুক জানান, এখনও সুযোগ পেলেই তিনি ভারতে ঘুরে যান। ব্যবসা শুরুর পর বেশ কয়েক বার এ দেশে ঘুরে গিয়েছেন।
ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে ‘সিঙ্গল মাদার’ হিসেবে দুই সন্তানকে বড় করে তুলছেন ব্রুক। ২০১৪ সালে আমেরিকায় বছরের সেরা উদ্যোগপতির স্বীকৃতও পেয়েছেন তিনি। ভারতীয় চায়ের স্বাদ যে এ ভাবে কারও জীবন বদলে দিতে পারে তা এডির গল্প না শুনলে বিশ্বাস করা কঠিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy