পঞ্জাবের স্বাধীনতার জন্য গণভোটের দাবিতে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে বিপুল জনসমাবেশ হয়েছে গত কাল। ২০২০তে ওই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে খলিস্তানি ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠন। ওই সমাবেশে অংশ নেন বেশ কিছু কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাও। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই সংগঠন এবং আন্দোলনে প্রত্যক্ষ সহায়তা রয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর।
নয়াদিল্লি বারবার লিখিত এবং মৌখিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও টেরেসা মে সরকার নিষিদ্ধ করেনি সরাসরি ভারত-বিরোধী এই সমাবেশটিকে। এর ফলে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ায় নিঃসন্দেহে উদ্বিগ্ন ভারত। পাশাপাশি আইএসআই যে ভাবে খলিস্তানি নেতাদের উস্কানি দিয়ে কানাডা এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়কে ভারত-বিরোধিতার কাজে লাগাচ্ছে তাতে আরও বেশি উদ্বিগ্ন সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, বিষয়টি এতটাই স্পষ্ট যে প্রকাশ্যেই এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে এই রাষ্ট্রগুলির শিখ বাসিন্দাদের মধ্যে। ব্রিটেনের সর্দার পটেল মেমোরিয়াল সোসাইটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা এই দেশে বসবাস করি। আর কিছু লোক স্বাধীন খলিস্তানের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার আন্দোলন করে চলেছে এখানে বসেই। এটা স্পষ্ট যে এই সমাবেশ করা হয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই এবং কানাডার খলিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশে।’’ এর আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছিলেন, ২০২০-র গণভোট নিয়ে পঞ্জাবে কারও মাথাব্যথা নেই। ট্রাফালগার স্কোয়ারের সমাবেশটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘পঞ্জাবে অশান্তি তৈরি করে দেশে বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য এটি আইএসআই-এর চক্রান্ত।’’
সূত্রের খবর, যাঁরা অন্য দেশ থেকে এসে লন্ডনের এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তাঁদের যাতায়াতের টিকিটও দিয়েছে ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনটি। আহ্বান জানানো হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বয়কট করতে। সংগঠনের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে ব্রিটিশ ভিসার জন্য কোনও ভারতীয় ট্রাভেল এজেন্টকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাদের সংগঠন বিনা পয়সায় সব কিছুর ব্যবস্থা করে দেবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০২০-র গণভোটকে সমর্থন করে টুইটারে প্রচুর সমর্থন আসছে পাকিস্তান থেকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy