নরেন্দ্র মোদী ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি।
আমেরিকার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে ভারত। আজ রাইসিনা সংলাপের শেষ দিনে ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। স্থির হয়েছে, যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করা হবে।
নয়াদিল্লি-তেহরান কূটনৈতিক সম্পর্কে চলতি বছর সত্তরে পা দেবে। জারিফ-জয়শঙ্কর বৈঠকের পর এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। পরে মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘কী কী কর্মসূচি নেওয়া হবে তা তালিকাভূক্ত করা হচ্ছে। শীঘ্রই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’’ তিনি জানান, জারিফের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়েও। রবীশের কথায়, ‘‘সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রীর তেহরান সফরে যৌথ বাণিজ্য কমিশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দু’দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াবে।’’ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উভয়েই আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেছে। কথা হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি বজায় রাখার প্রয়াসকে সমর্থন করবে ভারত।
কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, ইরান-আমেরিকা সংঘাতের আবহে তেহরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিবিড় করার সিদ্ধান্ত এবং তা প্রচার করা রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু দিন ধরে ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে সরু তারের উপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে নয়াদিল্লিকে।
আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক যোগাযোগ বজায় রাখার পাশাপাশি, ইরানকেও পাশে রাখা অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। সে দেশের চাবাহার বন্দরকে ব্যবহার করে আফগানিস্তান তথা পশ্চিম এশিয়ার বৃহৎ বাজারে নিজেদের পা রাখা শুরু করেছে ভারত। ফলে সেখান থেকে পিছিয়ে আসা এখন কার্যত অসম্ভব। এমনিতেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে ইরান থেকে তেল আমদানি শূন্যে নিয়ে আসা হয়েছে। সে কারণে বেগও পেতে হচ্ছে যথেষ্ট। তাই আপাতত ইরান প্রশ্নে আর কোনও আপসে নারাজ সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy