প্রতীকী ছবি।
রাজনৈতিক উত্তাপে এমনিতেই চিরউত্তপ্ত থাকে গাজা ভূখণ্ড। যুযুধান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের মধ্য সম্পর্কের বরফ কখনওই গলতে দেখেনি বিশ্ব। তবে এই গরম অন্য, যাকে চর্মচক্ষে দেখা যায়। একে তাপপ্রবাহ, তার উপর ক্ষণে ক্ষণে চলে যাওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ। দ্বৈত এই কারণেই গলে যাচ্ছে গাজার আইসক্রিম।
গাজা ভূখণ্ডে আইসক্রিমের এক বিশেষ গুরুত্ব আছে। খাবারটি সে দেশে সহজলভ্য, তুলনায় বেশ সস্তাও। তাই এই অঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষ আইসক্রিমের উপর ভরসা করেন। খাবার হিসাবে তাই কদর যথেষ্ট। এই দিকে গাজার তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিপদ শুধু তাপপ্রবাহ বা উষ্ণতা বৃদ্ধিতেই নয়, বিদ্যুতের সঙ্কট পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে তুলেছে। সাধারণত জুন, জুলাই, অগস্টের মতো গরমের মাসগুলিতে গাজায় প্রতি দিন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গাজা ইজরায়েলের কাছ থেকে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয়। ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবের দরুন সেখানে এখন মাত্র ১১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে। পরিস্থিতি এমনই যে অধিকাংশ দোকানদার আইসক্রিম বিক্রি করাই বন্ধ করে দিয়েছেন।
তবে সেখানকার জনপ্রিয় আইসক্রিম বিক্রেতা মহম্মদ আবু শাবান জানান, জেনারেটর চালিয়ে তিনি তাঁর দোকানের বাতানুকূল যন্ত্রকে সচল রাখছেন। আইসক্রিমের গলে যাওয়া ঠেকাতে তিনি এক মূহূর্তও জেনারেটর বন্ধ করতে পারছেন না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy