ধ্বংসাবশেষ হয়ে ফিরল ডুবোযান টাইটান। ছবি: রয়টার্স।
টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শনে গিয়ে ধ্বংসাবশেষ হয়ে ফিরল ডুবোযান টাইটান। সেই ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ থেকে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু দেহাবশেষের। কিছু দেহাবশেষ মিলেছে ডুবোযান উদ্ধার হওয়ার স্থান থেকেও। সেগুলি মানবদেহের টুকরো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা! বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনী কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করতে অতলান্তিকের অতলে গিয়েছিল টাইটান। কিন্তু যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি সমুদ্রগর্ভ থেকে নিখোঁজ হয়। খোঁজ মেলে প্রায় পাঁচ দিন পর। নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিমি দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ডুবোযানটির। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট দূরে। তখন অবশ্য সেই ডুবোযানের বিশেষ কিছু অবশিষ্ট ছিল না। জলের চাপে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল টাইটান। তবে টাইটানে থাকা পাঁচ যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। টাইটানের মালিক সংস্থা ‘ওশানগেট’ এবং উপকূল রক্ষীবাহিনীর তরফে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সমুদ্রের নীচে জলের চাপ সহ্য করতে পারেনি টাইটানিয়াম এবং কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি ডুবোযানটি। প্রচণ্ড চাপে জলের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে টুকরো হয়ে যায় সেটি। সেই ডুবোযানের অবশিষ্টাংশের কাছ থেকে ওই ‘মানব দেহাংশ’গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জলের তলায় বিস্ফোরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পাঁচ যাত্রীরও। উদ্ধার হওয়া প্রাণীদেহের অবশিষ্টাংশ ওই পাঁচযাত্রীর কি না তা খতিয়ে দেখতে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে।
আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনী তরফে বলা হয়েছে, ‘‘চিকিৎসকরা উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ পরীক্ষানিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
এই দুর্ঘটনার জন্য ‘মেরিন বোর্ড অফ ইনভেস্টিগেশন’ নামে সর্বোচ্চ স্তরের তদন্তও শুরু করেছে আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy