বিপাশা বা বিয়াস। হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব হয়ে পাকিস্তানে ঢুকে চেনাবের সঙ্গে মিশে গিয়েছে এই নদী।
ভারতের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে পাকিস্তানের নদীগুলিকে। আহ্বান হাফিজ সইদের। পাকিস্তানের নদীগুলিকে ভারত আটকে রেখেছে বলে দাবি লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজের। সেগুলিকে মুক্ত করার জন্য শুক্রবার জিহাদের ডাক দিয়েছেন মুম্বই হামলার এই মূল চক্রী।
আমেরিকা এক কোটি ডলার মাথার দাম ধার্য করেছে হাফিজ সইদের। লস্কর-প্রধান তথা জামাত-উদ-দাওয়ার প্রতিষ্ঠাতা ভারতের চোখেও এখন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ ছড়ানো, নাশকতা চালানোর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে হাফিজের বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও হাফিজ পাকিস্তানে খোলাখুলিই ঘুরে বেড়ান, স্বাধীন ভাবে নিজের সংগঠনের কার্যকলাপ চালান। নিয়মিত ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার করে বিভিন্ন সভায় ভাষণ দেন। শুক্রবার সে রকমই এক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন হাফিজ মহম্মদ সইদ।
ঠিক কী বলেছেন তিনি?
হাফিজ বলেছেন, পাকিস্তানের নদীগুলিকে বন্দি করে রেখেছে ভারত। সেগুলিকে মুক্ত করতে হবে। তার জন্য নতুন জেহাদ শুরু হতে চলেছে।
পাকিস্তানের নদী ভারতের হাতে আটকে থাকবে কী ভাবে?
আসলে পাকিস্তানের প্রায় সব প্রধান নদীই ভারত থেকে পাকিস্তানে ঢুকেছে। বিপাশা বা বিয়াস, চেনাব, ইন্ডাস বা সিন্ধু, বিতস্তা বা ঝিলম, রবি এবং সতলুজ বা শতদ্রু ভারত থেকে প্রবাহিত হয়েছে পাকিস্তানের মধ্যে। দেশ ভাগের সময় এই নদীগুলির মধ্যে তিনটি নদীকে পাকিস্তানের নদী বলে ঘোষণা করা হয়। সেগুলি হল বিয়াস, চেনাব এবং সিন্ধু। ভারত সরকার এই তিন নদীর জল ব্যবহার করতে পারবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। কিন্তু নদীর জল আটকাতে পারবে না, এমনই নির্দেশ জারি হয়।
আরও পড়ুন: মাকে কুপিয়ে খুন করল দুই আইএস জঙ্গি ভাই!
বাকি তিনটি নদী অর্থাৎ ঝিলম, রবি এবং শতদ্রু ভারতের নদী হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই তিন নদীকে ভারত যেমন খুশি কাজে লাগাতে পারবে বলে ঘোষিত হয়।
হাফিজ সইদের দাবি জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাব হয়ে পাকিস্তানে ঢোকা এই ছ’টি নদীই আসলে পাকিস্তানের। কোনওটিই ভারতের নয়। যে তিন নদী দেশ ভাগের সময় পাকিস্তানের নদী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল, সেই নদীর জলও ভারত আটকে দিচ্ছে বলে হাফিজের দাবি। সবক’টি নদীকে ভারতের হাত থেকে মুক্ত করার ডাক দেন তিনি। তার জন্য জেহাদ শুরু হতে চলেছে বলেও ঘোষণা করেন। জম্মু-কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করেই যে তিনি সে লক্ষ্য পূরণ করবেন, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ওই জঙ্গি নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy