Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

ব্যবসায় রাজি, কিন্তু বিক্রি হব না: গ্রিনল্যান্ড

মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেটের বিশাল ব্যবসা। কিনতেই তিনি ভালবাসেন। সে আকাশচুম্বী বাড়িই হোক বা ক্যাসিনো। এ বারে তাঁর নজরে পড়েছে গ্রিনল্যান্ডে। কিন্তু কেন?

ছবি এপি।

ছবি এপি।

সংবাদ সংস্থা
কোপেনহাগেন শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১২
Share: Save:

খবর ছড়িয়েছে, গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জবাবে গ্রিনল্যান্ড স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘‘আমরা কোনও বিক্রির সামগ্রী নই।’’ হোয়াইট হাউস এখনও অবধি মুখ খোলেনি এ বিষয়ে। কিন্তু ট্রাম্পের মনোবাঞ্ছার কারণ কী? ঘুরছে নানা তত্ত্ব।

মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেটের বিশাল ব্যবসা। কিনতেই তিনি ভালবাসেন। সে আকাশচুম্বী বাড়িই হোক বা ক্যাসিনো। এ বারে তাঁর নজরে পড়েছে গ্রিনল্যান্ডে। কিন্তু কেন? বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে সবাই বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যবসা বাড়ানোর কথা ভাবছেন হয়তো। যেমন, শুদ্ধ পানীয় জল, সি-ফুড এবং বিপুল খনিজ সম্পদ। সেই সঙ্গে ‘নয়া’ গ্রিনল্যান্ডে ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজ়ম’-এর কথাও তিনি ভাবছেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। ‘ট্রাম্প টাওয়ার’ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার সৈকতে ভাল হোটেল ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। যদিও শুক্রবার গ্রিনল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী আন লোন ব্যাগার একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ব্যবসার জন্য আমরা রাজি, কিন্তু এই দেশ বিক্রি হবে না।’’

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে কোপেনহাগেনে যাওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ড সরকারের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের মূল বিষয়বস্তুই থাকবে মেরুদেশটি। এ নিয়ে খবর প্রথম ফাঁস হয় একটি মার্কিন পত্রিকায়। একাধিক সূত্রে খবর, প্রথমে হাসাহাসি হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু পরে বোঝা গিয়েছে, যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে হোয়াইট হাউস।

উত্তর আটলান্টিক ও মেরু সাগরের মাঝে অবস্থিত ডেনমার্কের অধীনস্থ স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড। দ্বীপটি ডেনমার্কের অর্থনীতির উপরে নির্ভরশীল। গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রক কোপেনহাগেনের নিয়ন্ত্রণাধীন। বাকি অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি দেখাশোনা করে গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব সরকার। এখন ‘দেশ বিক্রি’র অর্থ যদি ডেনমার্ক থেকে আমেরিকার হাতে চলে যাওয়া হয়, গ্রিনল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের তা পছন্দ হবে না। গ্রিনল্যান্ডের একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি তথা ডেনমার্কের পার্লামেন্টের সদস্যা আজা চেমনিৎজ় লারসেনের বক্তব্য এটাই। বলেন, ‘‘বিক্রির প্রস্তাব শুনেই আমার মনে হয়েছে, না থাক, ধন্যবাদ।’’ ডেনমার্কের কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ অবশ্য এখনও দেশ-বিক্রির বিষয়টি কৌতূক হিসেবেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। ডেনমার্কের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন টুইট করেছেন, ‘‘ওটা এপ্রিল ফুলের জোক ছিল।’’ ড্যানিশ পিপল’স পার্টির বিদেশ বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র সোরেন এসপারসন বলেন, ‘‘উনি যদি সত্যি ধরে নিয়ে এত কিছু ভেবে ফেলেন, তা হলে উনি পাগল।’’ ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনকে অবশ্য এখনও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Greenland Ane Lone Bagger USA Donald Trump
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy